বাংলা ধারাবাহিকে আজ রূপকথার গল্পের রমরমা।দর্শকও ভালবাসেন সেই সব গল্প দেখতে। ফ্যামিলি ড্রামার চেনা চরিত্রগুলো যখন রাক্ষস-খোক্ষসদের বেশে হাজির হয় তখন বেশ হোঁচটই খান বাঙালি দর্শক।ঠিক যেমনটা ঘটল অলিভিয়ার ক্ষেত্রে। তবে শন বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে নবাব সেজে নিয়েছেন।বিষয়টা খোলসা করা যাক।
নবরূপে ধরা পড়লেন শন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলিভিয়া সরকার।সম্প্রতি শেষ হয়েছে ধারাবাহিক 'আমি সিরাজের বেগম'। সিরাজের চরিত্রে ছিলেন শন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এবার তিনি ধরা দিলেন রাজপুত্র কল্যাণের চরিত্রে।ঠাকুরমার ঝুলিতে রাজপুত্রের সাজে দিব্যি মানিয়েছিল তাকে।শন একবার এক সাক্ষাৎকারে এই সাংবাদিককে জানান এই জাতীয় রাজপুত্র কিংবা নবাবের চরিত্রে অভিনয় করতে তিনি ভালবাসেন।তার পছন্দের এক চরিত্র সম্রাট আকবর। এহেন শন আঁকতে ভালবাসেন। আঁকা নিয়েই তার পড়াশুনো।ওদিকে অলিভিয়া সরকার ঠাকুরমার ঝুলিতে ধরা দিলেন রাক্ষসী খিটখিটের চরিত্রে। অদ্ভুত সেই সাজ।
এমনিতেও তার টেলি কেরিয়ারে নেগেটিভ রোলেই তাকে বেশি পেয়েছেন দর্শক। নেগেটিভ রোলে অনেক শেড থাকে তাই নেগেটিভ রোল তার বিশেষ পছন্দের। এখানেই শেষ নয়, জেসমিন রায় ছিলেন রাজকন্যার চরিত্রে। 'আরব্য রজনী' ধারাবাহিকের তিনি বেগম শায়রাজাদ। মহাপীঠ তারাপীঠ ধারাবাহিকের ছোট্ট বামদেব অর্থাৎ সার্বিক পাল ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রোলে। আর ঠাকুমার চরিত্রে সোহিনী সেনগুপ্তকে দিব্যি মানিয়েছে।
'ঠাকুরমার ঝুলি'-র প্রতি পর্বে রাক্ষস-রাক্ষসীদের নাচ এক বিশেষ মাত্রা সংযোজন করে। ছোটদের কাছে বেশ ভালই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে 'ঠাকুরমার ঝুলি'।
প্রসঙ্গ ইদানিং কালে পুরাণ, ইতিহাস, রূপকথার গল্প নিয়ে বাংলা টেলিভিশনে কাজ হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। ফলে নিজেদের একটু অন্যভাবে আবিষ্কার করতে পারছেন শিল্পীরা। দর্শকও ভালবাসেন এই ধরনের চরিত্র দেখতে। আর এই জাতীয় বিষয় নিয়ে কাজ করার যাত্রায় সবথেকে বেশি এগিয়ে সুব্রত রায় প্রোডাকশন। সাধক বামাক্ষ্যাপা থেকে শুরু করে মনসা, দেবী চৌধুরানী, রানী রাসমণি, মহাপীঠ তারাপীঠ, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু, ঠাকুরমার ঝুলি সবই এই প্রযোজনা সংস্থার। তবে শুধু সুব্রত রায় প্রোডাকশনই নয় এই উদ্যোগে এগিয়ে দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়াও। আমি সিরাজের বেগম, প্রথম প্রতিশ্রুতি, জয় বাবা লোকনাথ, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য তাদেরই ব্রেন চাইল্ড। বলতে দ্বিধা নেই- দর্শক এই জাতীয় ধারাবাহিক বেশি পছন্দ করছেন। বইয়ের পাতায় পড়ে নেওয়া গল্পগুলির চরিত্রকে চাক্ষুষ করতে পারলে খুশি হন দর্শক। বলা ভাল রূপকথার গল্পে মজে থাকেন বেশিরভাগ বাঙালি দর্শক। এর দৌলতে উপকার একটাই- তারা রাজপুত্র, রাজকন্যা, রাজা, নবাবদের সম্বন্ধে শিক্ষা দিতে পারেন নিজেদের ক্ষুদ্র সংস্করণগুলিকে। সুতরাং বাংলা ধারাবাহিক কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষকে শিক্ষা দেয় তা বলাই বাহুল্য।