হাওড়া-শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসে গতি আনতে আগামী দিনে ওই দুটি ট্রেন সামনে-পেছনে ইঞ্জিনের সাহায্যে চলবে

খুব শীঘ্রই হাওড়া এবং শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনে সামনে এবং পেছনে দু'দিকেই ইঞ্জিন চালু হতে চলেছে। সম্প্রতি কলকাতা সফরে এসে পূর্ব রেলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রেল বোর্ডের তৎকালীন সদস্য মেম্বার ঘনশ্যাম সিং। সেই বৈঠকেই রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের গতিবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে রেল বোর্ডের ওই সদস্য পরামর্শ দিয়েছিলেন, বিশেষ করে দু'টি রাজধানী এক্সপ্রেসের ক্ষেত্রে যাত্রার সময় কমাতে 'পুশ-পুল সিস্টেম'- রূপায়ন করা হোক।

                    সেই মতোই পূর্ব রেলের এই দুটি শাখা কাজ এগোতে শুরু করে দিয়েছে। ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়িয়ে আরো কম সময়ে যাত্রীদের রাজধানী পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পূর্ব রেল। তার জন্য রেকগুলিতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি রূপায়নের কাজ আপাতত চলছে। দুটি ইঞ্জিন দুই ধরণের কাজ করবে। এর ফলে দিল্লিগামী ট্রেনের ক্ষেত্রে যাত্রার সময় ৯০ মিনিট এবং ফিরতি ট্রেনের ক্ষেত্রে ৭৫ মিনিট কমবে বলে সূত্রের খবর।

                     পূর্ব রেলের এক কর্তার কথায়, সামনের ইঞ্জিনটি যথারীতি রেকটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে এবং পেছনে থাকা ইঞ্জিনটি রেকটিকে ঠেলে নিয়ে যাওয়ার কাজ করবে। সব মিলিয়ে গতি বাড়বে। যাত্রার মোট সময় কমে যাবে। দুটি ইঞ্জিনের ভারসাম্য বজায় থাকবে কি না সে প্রশ্ন করলে এক রেলকর্তা জানান, সে বিষয়ে আশংকার কোনো অবকাশ নেই। প্রথমত, দুটি ইঞ্জিনের দুই চালক নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে ট্রেন চালাবেন। দ্বিতীয়ত, ব্রেক কষার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগতভাবে এই ব্যবস্থা পরীক্ষিত। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই মুম্বই-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস চলে বলে জানান তিনি। সেই ট্রেনের কোনো রকম সমস্যার খবর এখনও অব্দি পাওয়া যায়নি। হাওড়া এবং শিয়ালদহ রাজধানীর জন্য তিনটি করে মোট ছ'টি রেক রয়েছে। নতুন পরিকল্পনা রূপায়নে প্রতিটি রেকেই প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি রূপায়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথমে হাওড়া এবং পরে শিয়ালদহ-রাজধানী এই প্রযুক্তিতে চালানো হবে।

               প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতীয় রেল বিভিন্নভাবে যাত্রীদের সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা নিচ্ছে বেশ কিছুদিন থেকেই। প্লাস্টিক বর্জন করা, ট্রেনের টিকিটের দাম কমানো, ট্রেনে এবংস্টেশনে ওয়াই ফাই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনোদনের ব্যবস্থা করা, সুরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো, বায়ো টয়লেটের প্রসার ঘটানো,মহিলা যাত্রীদের আসন সংরক্ষন সহ  আরো বেশ কিছু প্রকল্প রূপায়িত হয়েছে এবং সাম্প্রতিককালে রূপায়ন করার ব্যবস্থা চলছে। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানান, যাত্রীদের আরো ভালো পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা সব সময়েই চলে। তারই একটি অংশ হিসেবে যাত্রীদের সুরক্ষা অটুট রেখে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...