সি ফুড অ্যাল্যার্জি থেকে বাঁচার উপায়

অনেক খাবারেই অনেকের অ্যাল্যার্জি হতে পারে। কারোর বেগুনে অ্যাল্যার্জি, কারোর ডিমে তো কারোর আবার অন্য কিছুতে রয়েছে অ্যাল্যার্জি। নানারকমের অ্যাল্যার্জি মানুষের সর্বক্ষণের সাথী। অ্যাল্যার্জির প্রাধান্য বাড়ার সাথে সাথে মিলেছে এর প্রতিকারের পথও। আজ আমরা এমন এক অ্যাল্যার্জি কথা আলোচনা করবো এবং অত্র থেকে কিভাবে বাঁচবেন তার পথও খুঁজবো। চলুন আজ সি-ফুড অ্যাল্যার্জি নিয়ে কথা বলা যাক।

বেগুনে বা ডিমে অ্যাল্যার্জির মতো অনেকে রয়েছেন যাদের সি-ফুড বা সামুদ্রিক প্রাণী খাওয়ার ফলে হয়ে থাকে। সামুদ্রিক প্রাণী বলতে যেগুলো বোঝায় সেগুলি হলো, বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ এবং অক্টপাস জাতীয় প্রাণী যা আজকাল বাজারে বেশ ভালোই বিকোচ্ছে। এই সামুদ্রিক প্রাণীর থেকেও শরীরে নানারকম অ্যাল্যার্জিক রি-অ্যাকশন হতে পারে। চলুন প্রথমেই জানা যাক, সামুদ্রিক প্রাণী থেকে অ্যাল্যার্জি হলে শরীরে কি কি লক্ষণ ফুটে উঠবে।

১) বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরকম অ্যাল্যার্জি হওয়ার ফলে পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়ারিয়া, শরীরের বিশেষ কিছু জায়গা ফুলে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২) এইসব সমস্যার সাথে আবার হাত মিলিয়ে হতে পারে শ্বাসকষ্ট। যা খুবই কষ্টদায়ক এক অবস্থার সৃষ্টি করে থাকে। অনেকসময় এই অ্যাল্যার্জির  কারণে মানুষ সমূর্ণ কোলাপ্সড পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে কারণ এই অ্যাল্যার্জির ফলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে যায়। শুধু খেলেই নয় অনেকসময় সামুদ্রিক প্রাণী রান্না করার সময় সেখানে কেউ উপস্থিত থেকে যদি রান্নার ধোঁয়া পর্যন্ত নাকে যায় তাদেরও এই অ্যাল্যার্জিক রি-অ্যাকশন হতে পারে।

তাই যাদের সামুদ্রিক জিনিসে অ্যাল্যার্জি রয়েছে তাদের উচিত বিশেষ কয়েকটি খাবার এড়িয়ে চলা। তার মধ্যে অন্যতম হলো চিংড়ি মাছ বা যেকোনো খোসাযুক্ত মাছ। অনেকসময় দেখা যায় সামুদ্রিক কিছু খেলেন না অথচ এই অ্যাল্যার্জির লক্ষণ দেখা দিলো শরীর জুড়ে। সেক্ষেত্রে কারণ অন্য হতে পারে। অনেকসময় রেস্তোরায় বা হোটেলে বেঁচে যাওয়া সামুদ্রিক মাছের গ্রেভি পরের রান্নার মধ্যে মিশিয়ে দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে আপনি সামুদ্রিক মাছ বা প্রাণী না খেলেও আপনার অ্যাল্যার্জি হতে পারে।

এই অ্যাল্যার্জির হাত থেকে বাঁচার জন্য মেনে চলুন কিছু টিপস যার ফলে আপনি বা আপনার পরিবারের সবাই সামুদ্রিক ফুড অ্যাল্যার্জির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। সেই পদ্ধতিগুলি হলো,

১)বাজার থেকে সামুদ্রিক মাছ কিনে এনে বাইরে বেশিক্ষন ফেলে না রাখাই ভালো। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয় রান্না করে ফেলুন নাহয় ফ্রিজে রেখে দিন।

২) প্যাকেটবন্দি সি ফুড কিনলে প্যাকেটের গায়ে তার সম্পর্কে লেখা থাকা যাবতীয় জিনিস পড়ে নিন এবং তারপরই কিনুন।

৩) সামুদ্রিক প্রাণী ফ্রিজে রাখার আগে ভালো করে ফুড গ্রেড প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে তবেই রাখুন।

৪) ফ্রিজ থেকে বার করে সেই সিফুড সঙ্গে সঙ্গে রান্না করবেন না। একে আগে উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিয়ে তবেই রান্না করুন।এই পদ্ধতিগুলি মেনে চলুন। আর তারপরও যদি অ্যাল্যার্জি হচ্ছে বলে মনে হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...