আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বলা যায়, মাত্র ৭৪% প্রবালপ্রাচীর এখনও জলের তলায় অবশিষ্ট আছে| কিন্তু কতদিন তা থাকবে তা নিয়ে বেশ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা| ২০১৪ সালে করা একটি গবেষণার ফলস্বরূপ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, সেইদিন থেকে ঠিক ৩০ বছরের মাথায় পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে এই প্রবালপ্রাচীর| সেই থেকেই চলছে প্রবালপ্রাচীর বাঁচানোর নানা চেষ্টা| সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক অভিনব পন্থা গ্রহণ করেছেন যার দ্বারা এই প্রবালপ্রাচীরের ধ্বংস আটকানো অনেকাংশে সম্ভব হয়েছে|
সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা সমুদ্রতলে পাঠিয়েছেন এক নতুনধরনের লাউডস্পিকার| এই লাউডস্পিকারটির মধ্যে আগে থেকেই রেকর্ড করা থাকবে নানাধরনের সাউন্ড| লাউডস্পিকারটির মাধ্যমে জলের নিচে থাকা প্রানীদের শোনানো হবে সেই শব্দ| সম্প্রতি এই পরীক্ষাটি করেছেন একদল মেরিন সায়েন্টিস্ট| এই নতুন গবেষণা করে তারা দেখতে চাইছিলেন ছোট সামুদ্রিক মাছগুলি এই শব্দের মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে প্রবালপ্রাচীরের আসেপাশে আসে কিনা| গবেষণার শেষে দেখা যায়, তাদের ধারনাই সত্যি| এই নতুনধরনের শব্দের আকর্ষণে প্রচুর মাছ সেখানে এসে ভিড় জমাচ্ছে| তাও আবার সেরকম জায়গায় যেখানে ইতিমধ্যেই প্রবালপ্রাচীর ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে| জানা গেছে, লাউডস্পিকারের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রবালপ্রাচীরের জায়গাগুলিতে চালানো হয়েছিল হেলদি প্রবালের শব্দ| আর তাতেই আকৃষ্ট হয়েছিল ছোট মাছ| গবেষণায় দেখা গেছে, আগে যত মাছ এই ধ্বংস হয়ে যাওয়া জায়গায় যেত তার দ্বিগুন পরিমাণ মাছ সেইজায়গায় আসছে| সেইস্থানে নতুন স্পিসিসের সংখ্যাও প্রায় ৫০% বাড়তে দেখা গেছে|