জানা গেছে, দীর্ঘ ২০ বছরের গবেষণার পর অবশেষে সাফল্য এসেছে ডিমেনশিয়া ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে| গবেষকদের দাবি, এই ওষুধ এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে এই ওষুধ মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করতে পারে| এতকাল এই রোগের প্রপার কোনো ওষুধ না থাকার কারণে এই রোগে আক্রান্তদের চিকিত্সা করা সম্ভব হয়নি| কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া এই রোগের ভ্যাকসিন তৈরিতে অন্য দেশকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গেছে| এই মুহূর্তে তাদের তৈরী ওষুধ পশুদের উপর এবং তারপর মানুষের উপর পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে| আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই ওষুধ যে বাজারে উপলব্ধ হবে তা নিয়ে বেশ আশাবাদী এই ওষুধ নির্মাণকারী গবেষকরা|
জানা গেছে, এই ওষুধ ডিমেনশিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া যেমন কমাবে সেরকমই অ্যালঝাইমার্স-এর রোগীদের ক্ষেত্রেও অনেক উপকার সাধন করবে| ডিমেনশিয়ার ওষুধ আবিষ্কার করে অসাধ্য সাধন করেছেন একদল বিজ্ঞানী যার মধ্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন দক্ষিন অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার ইউনিভার্সিটির এন্ডোক্রিনোলজি স্পেশালিস্ট নিকোলাই পেট্রোভস্কি|
চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কে প্রোটিন বিল্ড আপ হওয়ার ফলেই ডিমেনশিয়ার মতো রোগের জন্ম হয়| ধীরে ধীরে এই প্রোটিন ডিপোজিশন ধীরে ধীরে শক্ত হতে থাকে| চিকিত্সকেরা একে সেদ্ধ ডিমের আকারের সাথে তুলনা করেছেন| জানা গেছে, এর আগে প্রচুর বিজ্ঞানী এই রোগের ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা করলেও তা শুধুমাত্র পশুদের ক্ষেত্রে কার্যকরী ছিল| কিন্তু সম্প্রতি যে ওষুধ আবিষ্কার করা হয়েছে তা পশুদের সাথে মানুষদের ক্ষেত্রেও সমান উপকার করবে|
জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত ডিমেনশিয়ার জন্য যা যা ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছে তা মূলত এই রোগের লক্ষণ এবং প্রতিক্রিয়া কমানোর জন্যই ব্যবহৃত হয়েছে| এই রোগের মূল ওষুধ এই প্রথম আবিষ্কার হলো| প্রফেসর পেট্রোভস্কি জানিয়েছেন, ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমার্স এই মুহূর্তের দেশের সবচেয়ে বড় মেডিকেল প্রবলেম| অস্ট্রেলিয়ার মহিলাদের মধ্যে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে অ্যালঝাইমার্স|