প্রাগ ঐতিহাসিক যুগেও ছিল ‘ফিডিং বটল’। শিশুদের খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে নানা কৌশল নিত বাবা-মা রা।
শিশুদের পছন্দের পশু বা প্রাণীদের আদলে তৈরি হত মৃৎপাত্র। তাতে করেই দুধ খাওয়ানো হতো শিশুদের। এমনই কিছু মৃৎ পাত্রের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা। তিন হাজার বছর আগেকার।
সিরামিকের নানা আকারের অদ্ভুত দর্শন পাত্র। যা দেখে মনে হবে বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতিতে তৈরি।
প্রত্নতত্ত্ববিদেরা দীর্ঘ গবেষণার পর একেবারে দ্বিধাহীনভাবে জানিয়েছেন, অস্ট্রিয়ার ভসেনডর্ফে প্রাপ্ত এই পাত্রগুলো মূলত শিশুদের গরু, ভেড়া ও ছাগলের দুধ খাওয়াতে ব্যবহার করা হতো। পাত্রগুলোর আকার সেই প্রমাণ বহন করছে। কারণ, এসব পাত্রের গায়ে দুধ ব্যবহারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এই পাত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনোটির বয়স অন্তত ২,৮০০ থেকে ৩,২০০ বছর, যে সময়টাকে ইতিহাসে সাধারণভাবে ব্রোঞ্জ যুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এর আগে একই ধরনের আরও পাত্র পাওয়া গিয়েছিল, যার মধ্যে এমনকি সাত হাজার বছর পুরোনো পাত্রও আছে, যা মূলত নিওলিথিক সময়কালীন হিসেবে পরিচিত।
জার্মানিতে পাওয়া এ পাত্রগুলো বেশ ছোট, যা শিশুর ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। পাত্রগুলির মুখ বেশ সরু। ফলে শিশুদের তরল খাদ্য খাওয়ানোর জন্য যথাযথ। মানুষের মতো পা। রয়েছে পশুর মাথার মতো সম্মুখভাগ, যেখানে রয়েছে শিং। দেখলে মনে হবে ক্যাঙ্গারুর প্রতিকৃতি।
সদ্য আবিষ্কৃত পাত্রগুলির সম্পর্কিত গবেষণাপত্রটি নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।