এই প্রথম কোনও এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমন্ডলে পাওয়া গেল জলের সন্ধান, যা প্রাণের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম।
গতকাল অর্থাৎ ১১ই সেপ্টেম্বর বিজ্ঞানীরা এই তত্ত্বটি প্রকাশ করেন ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নাল’-এ। কে২-১৮বি(K2-18b) কক্ষপথে অবস্থিত এই গ্রহটি আমাদের সৌরজগতের বাইরে তার নক্ষত্রের হ্যাবিটেবেল জোনে অবস্থিত, তাই এখানে পাওয়া যেতে পারে জল, আর জল মানেই জীবন!
এই এক্সোপ্ল্যানেটটি পৃথিবীর থেকে আকারে দ্বিগুন বড় এবং ভর ৮ গুন। সূত্রের খবর, ৪০০০ এর বেশি এক্সোপ্ল্যানেট পর্যবেক্ষণ করে এই প্রথম একটি পাওয়া গেল, যার মধ্যে রক্সি সারফেস ও জল সমন্বিত বায়ুমন্ডল একইসঙ্গে উপস্থিত।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অ্যাস্ট্রোনমার, প্রাণের সন্ধানী, জিয়ভান্না তিনেত্তি এই জার্নালের কো-অথর। তিনি জানিয়েছেন, “এই গ্রহ আমাদের সৌরজগতের বাইরে থাকা গ্রহদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।”
আরো বলেছেন, “আমরা অনুমান করতে পারি না যে এর উপরিভাগে মহাসাগর আছে কিনা, তবে এটার প্রকৃত সম্ভবনা রয়েছে।”
সাধারণত বেশিরভাগ এক্সোপ্ল্যানেট বিশালাকার গ্যাসের বল এবং পাথুরে গ্রহের মত শক্ত হয়, তবে কোথাও বায়ুমন্ডল পাওয়া যায় না। আর যদি পাওয়াও যায়, সেগুলি তাদের নক্ষত্রের থেকে এতটাই দূরে থাকে যে সেখানে জল(H2O) থাকার সম্ভবনা থাকে না।
পুরনো তত্ত্বানুযায়ী ২০১৫ সালে নাসা কেপলার মহাকাশ দ্বারা চিহ্নিত করা হয় কে২-১৮বি, যেখানে পৃথিবীর থেকে ১০ গুন বড় ১০০টি গ্রহের সন্ধান পাওয়া যায়, যাদের বলা হয়, ‘সুপার আর্থ’। ভবিষ্যত মহাকাশ অভিযানে আরো এইরকম একশত গ্রহ খুঁজে বার করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই গবেষনার লিড-অথর অ্যাঞ্জেলস সিয়ারাস জানিয়েছেন, “পৃথিবী ছাড়া অন্য একটি পোটেনসিয়াল হ্যাবিটেবেল বিশ্বে জল খুঁজে পাওয়া গেল, সত্যি দারুণভাবে উত্তেজিত আমরা।”
ওপর একজন কো-অথর ইঙ্গ ওয়ালম্যান জানিয়েছেন, “মনে হচ্ছে যে বহু পোটেনসিয়াল হ্যাবিটেবেল গ্রহ আবিষ্কারের সূচনাপর্ব এটি।”
আরো জানা যায়, ১১০ আলোকবর্ষ অর্থাৎ এক মিলিয়ন বিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি লাল বামন নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে এই কে২-১৮বি অরবিটগুলি।