হেয়ার স্টাইল বিভ্রাট

স্বাধীনতা আর শৃঙ্খলতা দুটি শব্দের অর্থ একদম ভিন্ন। স্বাধীন হওয়াকে রুচিকর পরিবেশনায় সাজিয়ে রাখতে প্রয়োজন হয় শৃঙ্খলতা। যদিও বয়স আর সময়ের সাথে এ দুটোই পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন কায়দার হেয়ার স্টাইল। স্কুলের ছাত্ররাহেয়ার স্টাইল নিয়ে নানা এক্সপেরিমেন্ট করতে দ্বারস্থ হচ্ছে সেলুন গুলোয়। কখনো মাথার ওপরের অংশে কেবল খাড়া খাড়া চুল, কখনো মাথার মাঝ থেকে চলে গেছে একটা সরু চুলের রাস্তা বাকিটা ধু ধু মাঠ, কেউ আবার ঝাঁকড়া চুলে পাখির বাসার মত কেটে রং করে বসে আছে। কিন্তু স্কুলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে ছাত্রদের এহেন বিচিত্র হেয়ার স্টাইলে নাজেহাল হয়ে এবার স্বয়ং প্রধান শিক্ষক দ্বারস্থ হলেন সেলুনগুলোতে। 

নিউটাউনের  হাটগাছা হরিদাস বিদ্যাপীঠে সম্প্রতি ছাত্রদের টেরি কাটা চুলের ব্য়বহার বন্ধ করতে প্রধান শিক্ষকের চিঠি পোঁছালো  স্থানীয় সেলুন গুলোতেছাত্রদের বারবার নিষেধ করা সত্বেও তাদের রকমারি হেয়ার স্টাইলের কোনও পরিবর্তন হচ্ছিল না। অভিভাবকদের ডেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হলেও সে অবস্থার খুব পরিবর্তন চোখে পড়ছিলোনা। অতঃপর বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষক -এর একটি বিশেষ অনুরোধের চিঠি পৌঁছে যায় স্থানীয় সেলুনগুলিতে।  স্কুল ছাত্রদের হেয়ার স্টাইল করবার  ক্ষেত্রে সেলুনগুলোকে দৃষ্টি কটু এবং অছাত্রসুলভ চুল না কাটবার  জন্য বলা হয়। সামাজিক মাধ্যম গুলোতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড: পার্থ সারথি দাসের এই চিঠি এ মুহূর্তে ভাইরাল। এই বার্তার সাথে সামাজিক মাধ্যম গুলোয় প্রচুর সমর্থনও পাচ্ছেন তিনি

   ড. পার্থ সারথি দাস জানান আগে উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা এই ধরনের হেয়ার  স্টাইল এর দিকে বেশি ঝুঁকতো। কিন্তু এখন প্রাথমিক শ্রেণীর ছাত্রদের ভিতরেও সেই ঝোঁক অত্যাধিক মাত্রায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তা নিয়ে বেশ চিন্তিত তিনি। কো-এড স্কুল হলেও হেয়ার স্টাইলের ক্ষেত্রে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এ বিষয়ে বেশ নিয়ন্ত্রিত। ছাত্রদের বার বার নিষেধ করে ফল না হওয়ায়, নিজেই সেলুনগুলোতে এই চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নেন ড. পার্থ সারথি। তিনি জানান পরিবর্তন করতে চাইলে সেটা সব দিক থেকেই নিয়ে আসা প্রয়োজন। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...