সামনেই আসছে আইসিএসসি পরীক্ষা। কিছুদিন পর পরীক্ষায় উত্তীর্ন পড়ুয়ারা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে। শুরু হবে তাদের জীবনের নতুন এক অধ্যায়। এই সময়, বিশেষ করে দশম শ্রেণীর পরই ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মজীবনে প্রবেশ করার দরজা খোলে। তাই এই সময়টা তাদের জীবনে সিদ্ধান্ত নেবার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রত্যেক পড়ুয়ার আলাদা আলাদা বিশেষত্ব থাকে, নিজস্বতা থাকে। সেই মতোই তাদের উচ্চশিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। কারুরই পড়ার বিভাগ(হিউম্যানিটিজ, বিজ্ঞান, বাণিজ্য) কি হবে তা অভিভাবকদের বাছাই করে দেওয়া উচিত নয়।
এই বিষয়ে সম্প্রতি একটি মামলার রায়ে একথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফ। প্রসঙ্গত উলেখ্য, আইএসসি বা সিবিএসই অথবা পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা সংসদ-যে বোর্ড-ই বলুন না কেন, প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব নিয়ম করে রেখেছে, কেমন মানের শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণীর মূল পরীক্ষায় বসতে পারবে। আইএসসি বোর্ডের কোনো স্কুল থেকে সেই নিয়ম অমান্য করে একজন ছাত্রকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড তার অনুমোদন খারিজ করে। তার ভিত্তিতেই মামলা হয় এবং সেই মামলার রায়দানে বলা হয়, অভিভাবকরা নয়, স্কুলকেই কাউন্সেলিং করতে হবে কোন পড়ুয়া কি পড়ার উপযুক্ত। এই নিয়ম লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্য হল শিক্ষা ব্যবস্থার ভীত নড়বড়ে করে দেওয়া। শিক্ষাক্ষেত্রের উচ্চমান ধরে রাখতে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালন ব্যবস্থা মসৃণ রাখার স্বার্থে ওই আইনি পরিকাঠামোয় কোনোরকম হস্তক্ষেপ করা উচিত হবেনা।
উক্ত ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলতে পারিনা, তার চেয়ে বরং তাদের যে বিষয়ে আগ্রহ এবং দখল রয়েছে, সেই বিষয়েই উপযুক্ত করে তৈরি করার চেষ্টা করলে তারা নিজেদের মত করে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে সক্ষম হবে।