পরিচালক রাজিব কুমার এর পরিচালনায় 'ক্লাসরুম' ছবিটি মুক্তি পেল। শুভ(সোহেল)একজন মেধাবী ছাত্র। মাধ্যমিকে সে সারা বাংলা থেকে দশের মধ্যে স্থান লাভ করেছিল। সে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। তাই তাকে স্কুলের সবাই খুব ভালোবাসে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকে খুব স্নেহ করে। কিন্তু তাকে একদমই পছন্দ করে না রকি যে একসময়ের সুপারস্টারের ছেলে। একদিন রকি শুভর থিসিস পেপারও পুড়িয়ে দেয়।সে শুধু এখানেই খান্ত নয়। সে বাথরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখে,সুইমিংপুলে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখে। মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে ফাঁসায়। এহেন রকি একদিন স্কুলেই খুন হয়। কে সেই খুনি সেটা নিয়েই ছবি এগোয়। টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে খুনি ধরা পড়ে। এই স্কুল থেকেই দুবছর আগে সুইমিংপুলেই ডুবে মারা গিয়েছিল একটা বাচ্চা। একটা বুনট চিত্রনাট্যর মধ্যে দিয়ে ছবির সমাপ্তি ঘটে।খুনি ধরা পড়ে কিন্তু সেই খুনি সমাজের বুকে কতগুলো প্রশ্ন তুলে যায়। রাজিব কুমার-এর পরিচালনায় 'ক্লাসরুম' ছবিতে বনিজ্যিক মশালার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাও তুলে ধরলেন। বর্তমানে প্রাইভেট স্কুলের যে রমরমা এবং সেই স্কুলগুলোতে শিক্ষার থেকে ব্যবসায়িক দিকটাতে বেশি খেয়াল রাখা হয়। এর পরিনতি যে কি ভয়ংকর হতে পারে তা পরিচালক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেনl এই ছবির মধ্যমেই টলিউডে নতুন জুটি সোহেল -কুয়াশার আত্মপ্রকাশ ঘটল। সোহেলকে এর আগে বেশ কিছু মেগাতে পাওয়া গিয়েছিল। এখানে সোহেল -কুয়াশা -জুটি সকলের বেশ নজর কেড়েছে। স্কুলের প্রিন্সিপালের চরিত্রে সুপ্রিয় দত্ত দারুন মজাদার অভিনয় করেছেন। স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকায় খরাজ মুখোপাধ্যায় কমেডি অভিনয় অনেক মজার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভালো লাগে রুদ্রনীল ঘোষকেও। দেব সেন-এর সুরে ছবির গানগুলো এবং আবহ গুলো বেশ ভালো লাগে। কিন্তু কিছু জায়গায় বেশ প্রশ্ন জাগে মনে-যেমন রকি ম্যাডামকে হায়ার সেকেন্ডারিতে শুভকে প্রথম না করিয়ে মিঠুন বলে আরেকজনকে প্রথম করার জন্য বলে, কিন্তু হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা তো বোর্ড এক্সাম,পরীক্ষা হয় তো বাইরের স্কুলে খাতাও দেখবে অন্য স্কুল। তাহলে সেটা কি করে সম্ভব!বাবা একজন সেলিব্রিটি বলেই রকির সব বদমায়েশি মেনে নেওয়া হবে?
বাংলাতে এর আগে স্কুলের জীবন নিয়ে সেভাবে ছবি হয়নি, পরিচালকের এই প্রয়াস এবং প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাতেই হয়।