৭০০ জনের অনুদানে গড়ে উঠছে স্কুল

এ যেন সেই কথা- যে স্বপ্ন দেখে, সে তা সত্যিও করতে জানে। আইটি কোম্পানির চাকরি ছেড়ে পাকাপাকিভাবে পুরুলিয়ার শবর জনগোষ্ঠীর গ্রামে চলে এসেছেন তাদের জন্য কিছু করার উদ্দেশ্যে। এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত ন্যূনতম বহু জিনিস পৌঁছয়নি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষার আলোকে আলোকিত করতে না পারলে গ্রামের প্রাথমিক উন্নতিটাই হবেনা বলে মনে করেন স্বর্ণাভ দে। তাই তিনি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে অন্তত ২৫টি জনজাতির ছাত্রছাত্রীকে পড়ানোর উদ্দেশ্যে একটি স্কুল গঠন করার পরিকল্পনা করেন। তাঁকে এই কাজে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন ডাক্তারি পাশ করা সায়ন্তিকা দে এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে কর্মরত সৃজিত ঘোষপুরুলিয়ার বরাকর এলাকার সিন্দরি গ্রামে জমি কেনা হয়ে গেছে। প্রায় ৬০-৭০ টি গ্রামে ঘুরে ঘুরে শবর জনজাতির বাচ্চাদের স্কুলে পড়াশুনো করার ব্যাপারে রাজি করানো হয়েছে।

  চমকটা রয়েছে এই কাজে ফান্ডিং জোগাড়ের ব্যাপারে। এক একজনের পক্ষে অথবা দু-তিন জনের পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব ভেবেও পিছু হঠেননি তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ক্রাউড ফান্ডিং জোগাড় করার কাজে নেমে পড়েছিলেন। এই ভাবনার কথা তাঁরা শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আগ্রহীরা কয়েকবার নন্দনে দেখা করেন। সক্রিয় উদ্যোক্তাও পাওয়া গেল প্রায় ২০-২৫ জনকে। তাছাড়াও মোট ৭০০ জনের অনুদান জমিয়ে আশার আলো দেখলেন স্বর্ণাভ। মোট ২১ লক্ষ টাকা উঠেছে। সিন্দরি গ্রামে জমি কিনে স্কুলের ঘরবাড়ি তৈরির কাজও শুরু হয়ে গেছে। এদের স্বপ্নে তাল মিলিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ওই গ্রামের বাসিন্দারাও।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...