ক্যান্সার নামটা এখন সবার জানা| কিন্তু তবুও আজ এই নামটা শুনলে লোকে আঁতকে ওঠে| যতই এইটা নিয়ে কথা বলুক, এই শব্দটি বহু মানুষের মনের মধ্যে ভয় ও নিজ প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কার ঝড় তুলে দেয়| সামনেই আসছে “ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার ডে”, ৪ ফেব্রুয়ারি, এই দিন নিজেকে সুস্থ দেখতে কার না ভালো লাগবে|
চলুন আজকেই জেনে নেওয়া যাক কিছু প্রাকৃতিক নুস্কা অথবা বলতে পারেন কিছু খাবার যা খেলে আমরা ওই ভয়াবহ মর্মান্তিক রোগ থেকে কিছুটা হলেও নিজেকে বা নিজের পরিজনদের বাঁচাতে সক্ষম হব|
প্রথমেই যেই সবজিটির কথা আসবে তা হলো সালফরাফেনে সমৃদ্ধ, ব্রকোলি গবেষনার সূত্রে খবর, ব্রকোলি ব্রেস্ট, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের কোষকে ধ্বংস করতে কার্যকরী|
দ্বিতীয়ত, হলুদ ও রসুন, এইগুলি আমরা মশলা হিসাবে ব্যবহার করে থাকি আবার টিউমার সমস্যার ক্ষেত্রেও উপকারী | তবে দুটোরই আলাদা গুনও আছে| হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে তেমনি রসুন উচ্চরক্তচাপ কমাতে সক্ষম| তবে সব থকে গুরুত্বপূর্ণ, এইগুলি ক্যান্সারের কোষবৃদ্ধি থামাতে সক্ষম| সূত্রের খবর নিয়মিত এইগুলি খাবারে খেয়ে, হলুদ কোলন ক্যান্সারের ও রসুন প্রস্টেট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় দারুন ফল দিয়েছে|
তৃতীয়ত, গাজর! গবেষণা বলছে আমরা যদি আমদের রোজকার খাবারে গাজর রাখি তাহলে প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা প্রায় ১৮%-২০% কমতে পারে আবার কোলন, পাকস্থলীর ও ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসাতেও গাজর বিশেষ কার্যকরী|
চতুর্থত, অলিভ অয়েল! যা খেলে মানুষ রোগা হয় এরকমই ভাবি আমরা, কিন্তু শুধু রোগা নয় অলিভ অয়েল ক্যান্সার রোগের চিকিৎসাতে কোষবৃদ্ধি থামিয়ে রাখতে পারে, তাই নিয়মিত স্যালাডে ব্রকোলি ও গাজরের সাথে এটি একটু মিশিয়ে খেতে পারেন, ক্যান্সার হারাতে|
পঞ্চমত, অ্যাসিড! ভাবছেন কোন অ্যাসিডের কথা বলা হচ্ছে? দুরকমের অ্যাসিড ক্যান্সারের কার্যকরী ভুমিকা নেয়| এক সাইট্রিক অ্যাসিডযুক্ত লেবু, অপরটি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত মাছ| ফ্যাটিঅ্যাসিড-এ থাকে ওমেগা-থ্রি যা ক্যান্সারে আক্রান্ত খাদ্যনালীর চিকিৎসায় কার্যকরী| এর লেবু আমদের শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে|
এছাড়াও ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ যেকনো খাবার স্কিন ক্যান্সার নিরাময় চিকিৎসায় সাহায্যকারী|