যদি মন থেকে কোনো কিছু করার তাগিদ থাকে, তাহলে অবশ্যই তা করে দেখানো যায়। যে কোনও রকম ঝড়, ঝাপটা সহ্য করেও আমরা যদি লক্ষ্যে অবিচল থাকি তবে অবশ্যই লক্ষ্য পূরণ হবেই। তার পাশাপাশি যদি সেই কাজের স্বীকৃতি পাওয়া যায়, তাহলে মনে হয় জীবন সার্থক হয়ে যায়। এইরকমই লক্ষ্যে অবিচল থেকে যে অসাধ্য সাধন তিনি করেছেন, তার স্বীকৃতি পেলেন। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সর্বকনিষ্ঠ পর্বতারোহী হিসেবে পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি শৃঙ্গ জয়ের বিশ্বরেকর্ডধারী হিসেবে ভারতের সত্যরূপ সিদ্ধান্তের রেকর্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এই মুহূর্তে তিনি যদিও উত্তর মেরু অভিযানের অন্তর্গত নরওয়ের লংইয়ারবায়েন শহরে অভিযানে রওনা হওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেখান থেকেই তিনি তাঁর খুশির বার্তা পাঠিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে কিলিমাঞ্জারো থেকে যাত্রা শুরু করে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে আন্টার্কটিকার মাউন্ট সিডলে জয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গঠন করেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। প্ৰসংগত এতদিন অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল বুলের দখলে ছিল সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বে সর্বপ্রথম সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি শৃঙ্গ জয়ের রেকর্ড। এবারে সেই রেকর্ডের দখল নিলেন সত্যরূপ। গত ১৫ জানুয়ারি সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে তিনি ৩৫ বছর ২৬১ দিনে এই নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করলেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, কোনো বিশ্বরেকর্ড অভিযানে নামতে গেলে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আগে থেকে সেই পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সহ আবেদনপত্র জমা করতে হয়। সেই মতোই সত্যরূপ নিজের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে গতবছর অক্টবর মাসেই আবেদন জানিয়ে রেখেছিলেন। সেই সঙ্গে চূড়ান্ত অভিযান ১৫ জানুয়ারি শেষ হবার পর আবার সেই সংক্রান্ত তথ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তিন মাস অপেক্ষার পর সেই আবেদনে সিলমোহর দিল গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে আমরা গর্ব করতেই পারি, ভারতীয় তথা বাঙালি হিসেবে এই মুহূর্তে আমাদের মাথা উঁচু করেছে সত্যরূপ, তাঁর এই বিশ্বজয়ের মাধ্যমে।