এই প্রথম রাজ্যে 'সেরা গ্রন্থাগার পুরস্কার' দিচ্ছে সরকার

জেলা, শহর, মহকুমা, গ্রামীণ, প্রাথমিক, আঞ্চলিক লাইব্রেরিগুলির মধ্যে এবার "সেরা গ্রন্থাগার সম্মান" দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকারের গ্রন্থাগার বিভাগ। এই জন্য আগামী ২২ অগস্ট এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরিগুলিকে নিজ নিজ লাইব্রেরি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ অগস্ট, "পাবলিক লাইব্রেরি ডে" র দিন কলকাতার নজরুল মঞ্চে রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তরের তরফে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভাগ অনুযায়ী বিভিন্ন লাইব্রেরিকে সেরার শিরোপা দেওয়া হবে। রাজ্য গ্রন্থাগার দপ্তরের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে।

লাইব্রেরিগুলির সারা বছরের কাজের ভিত্তিতে এই সেরা গ্রন্থাগারের শিরোপা দেওয়া হবে। সেরা লাইব্রেরি নির্বাচনের ক্ষেত্রে মূলত কি ধরণের বই, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরিতে রাখা হয় তা দেখা হবে। এ ছাড়াও লাইব্রেরির সদস্য সংখ্যা,বইয়ের সংখ্যা, লাইব্রেরিতে ভালোভাবে বসে বই পড়ার ব্যবস্থা আছে কি না, গত বছরে লাইব্রেরি থেকে কত জন সদস্য পড়ার জন্য বই বাড়ি নিয়ে গেছেন, কত বই ফেরত এসেছে, কত বই ফেরত আসে নি, এই বিষয়গুলো বিচের করেই সেরার শিরোপা দেওয়া হবে। এ ছাড়াও বিগত বছরে কত পড়ার বই, কত গল্পের বই, কত ম্যাগাজিন লাইব্রেরির তরফে কেনা হয়েছে সেটাও বিচারের মধ্যে রাখা হবে।

রাজ্যের সব লাইব্রেরি সরকার পোষিত বা সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয় না। তাই সব লাইব্রেরিতে পাঠকদের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এইসব দিকে নজর দিতেই এবার সেরা লাইব্রেরি পুরস্কার দেওয়া হবে বলে গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। সরকার চাইছে রাজ্যের সবকটি লাইব্রেরিতে যাতে পাঠকদের সমান সুবিধা দেওয়া যায়। কোনোও অবস্থায় পাঠকরা যেন বই পড়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।

এ ছাড়াও লাইব্রেরির পরিবেশ কেমন তা যাচাই করে দেখতে, উন্নয়নের জন্য কোনোও অনুদান পেয়েছে কি না, লাইব্রেরিগুলির শৌচাগার পরিষ্কার কি না, লাইব্রেরি ভবনটি কত তলা, উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা আছে কি না, সরকারের কাছ থেকে গত আর্থিক বছরে কত টাকা অনুদান পেয়েছে, অন্য কোনোও সূত্র থেকে কোনোরকম সাহায্য পাওয়া গেছে কি না এই বিষয়গুলোও সেরা লাইব্রেরি নির্বাচনের সময় দেখা হবে বলে গ্রন্থাগার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

   

 

 

 

  

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...