ছৌ নাচ আমাদের বাংলার একটা পরিচয় বলা যেতেই পারে। আর সেই নাচের উৎপত্তিস্থল পুরুলিয়ার লালপাহাড়ি দেশে ঘুরে আসলে মন্দ হয় না! প্রাচীন বাংলার অন্যতম রুপ এই পুরুলিয়া। আর এই বাংলার প্রাচীন রুপকে তুলে ধরতে চলেছে সরশুনা সার্বজনীন দুর্গা পূজা। ‘জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯’ এর পুজোর আড্ডায় জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে হাজির হয়েছিল সরশুনা ক্ষণিক মিলনের সদস্যরা। সঞ্চালক শ্রেষ্ঠার সাথে পুজোর আড্ডা দিলেন ক্লাবের সহ-সম্পাদক সৌমেন পুরকায়স্থ এবং ক্লাবের দুই যুগ্ম সম্পাদক প্রশান্ত হাজরা ও শেখর ঘোষ।
এই বছর ৭৫তম বর্ষে পা দিচ্ছে সরশুনা ক্ষণিক মিলনের পরিচালনায় ‘সরশুনা সার্বজনীন দুর্গাপুজো’। আগামী ৪ অক্টোবর তাদের পুজোর শুভ উদ্বোধন হতে চলেছে। এই বছর তাদের থিমের নাম ‘সভ্যতায় আদিম রঙ’। অর্থাৎ আদি বাংলার যে রুপ আমরা পাই পুরুলিয়ায়, সেই রুপকে থিমের মাধ্যমে তুলে ধরতে চলেছে সরশুনা সার্বজনীন দুর্গা পূজা।
আর বাঙালির পুজো মানেই পেটপুজো, তা বলাই যেতে পারে। এই পুজো কমিটির তরফ থেকে অষ্টমীর দিন ভোগ বিতরণ করা হয় সাধারণ দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে। আর যদি বলা যায় তাদের পুজোর মূল আকর্ষণ কি, তাহলে বলতেই হবে বিসর্জনের দিন সিঁদুরখেলা। একাদশীর দিন মাকে বিদায় জানানো হয় বিসর্জনের মাধ্যমে।
তাহলে পুরুলিয়ার ছোঁয়া পেতে আসতেই হবে সরশুনার এই ক্লাবের পুজোয়। দমদম কিংবা কবি সুভাষগামী কোনও মেট্রো ধরে নামতে হবে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকে সরশুনাগামী কোনও বাস ধরে নামতে হবে সরশুনা বাস স্ট্যান্ডে। সেখান থেকে অল্প একটু হাটলেই পৌছে যাবেন তাদের পুজোমন্ডপে।