সংস্কৃত ভাষা আমাদের ঐতিহ্যের ভাষা। পুরাণকাল থেকে মানুষ এই ভাষা নিয়ে চর্চা করে এসেছে। লেখা হয়েছে নানা পুস্তক ও ধর্মগ্রন্থ। কিন্তু ধীরে ধীরে এই ভাষায় চর্চা করা মানুষ ভুলে গেছে। এই ভাষায় পড়াশোনা ও গবেষণা হয়, কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের কাজে এই ভাষা আর ব্যবহার করিনা আমরা। কিন্তু জানেন কি এই দেশে এখনও এমন এক জায়গা রয়েছে, যেখানকার মানুষরা প্রতিনিয়ত এই ভাষায় কথা বলে। তাদের মাতৃভাষা হল সংস্কৃত।
হাইলাইটসঃ
১। তাদের মাতৃভাষা হল সংস্কৃত
২। গ্রামের মানুষরা চলতি কথায় সংস্কৃত ভাষা ব্যবহার করে
৩। গ্রামের রীতি অনুসারে, নতুন প্রজন্মেকে সংস্কৃত চর্চা করতে হয়
এই অঞ্চলটি কর্ণাটকে অবস্থিত। এখানের শিবামোগ্গা অঞ্চলে রয়েছে মাত্তুর গ্রাম। যে গ্রামের প্রধান ভাষা হল সংস্কৃত। এর পাশাপাশি কর্ণাটকের কন্নড় ভাষা সম্পর্কে তারা অবগত। কিন্তু তারা সর্বাধিক প্রাধান্য দেয় সংস্কৃত ভাষাকে।
এই গ্রামে ভাষা নিয়ে একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে। রীতি অনুসারে, নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীদের সংস্কৃত চর্চা করতেই হবে। এখানে শুধুমাত্র লেখ্য ভাষাই নয়, চলতি ভাষাতেও তারা একে অপরের সাথে কথোপকথনে সংস্কৃত ভাষা ব্যবহার করে।
যে ভাষা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বদলাতে পারে না সেই ভাষা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যায়। সেই হিসেবে সংস্কৃত ভাষাকে আমরা প্রায় লুপ্ত ভাষার পর্যায়ে ফেলে দিয়েছি। কিন্তু ভারতবর্ষের ঐতিহ্য বহনকারী এই ভাষাকে নিজেদের জীবনের সাথে মিশিয়ে রেখে আজও এই ভাষাকে বাঁচিয়ে রেখে মাত্তুর গ্রাম।