প্রশাসনের উপহার চন্দন চারা

কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে উদ্বোধন হতে চলেছে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে। এমন তাৎপর্যপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান বরাবরই আয়োজিত হয়ে আসছে জাঁকজমক ভাবে। এইবারে বেঞ্চ উদ্বোধনের দিন অংশগ্রহণ করতে আসা মাননীয় বিচারপতি এবং অন্যান্য উপস্থিত সদস্যদের একটি করে চন্দন-এর চারা উপহার স্বরূপ তুলে দিতে চায় প্রশাসন। চন্দনের চারার যোগান দিতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বন দফতরের উদ্যান ও পালন শাখায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতে অথবা সমাপনিতে আদালত চত্বর ভবনের চন্দনের চারাগুলি রোপন করা হতে পারে বলে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। 

সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করতে আসা ভি আই পি -এর সংখ্যা ৫০ জন-এর বেশি হতে পারে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্যে গত রবিবার থেকেই সার্কিট বেঞ্চ ভবন প্রবেশ পথের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের কাজও আরম্ভ হয়ে গেছে। শুরু হয়েছে আদালত ভবন গ্রন্থাগারের বইয়ের তালিকাকরন। এই দায়িত্ব পালন করতে বেঞ্চ ভবনে এসেছেন জেলা গ্রন্থাগারের কর্মীরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে হাইকোর্টের দুই বিচারপতি জেলা প্রশাসন আধিকারিকদের সাথে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন গত বৃহস্পতিবার। এই বৈঠকে জানানো হয় অনুষ্ঠানের ভাবমূর্তি মেনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাতে ফুলের বদলে হাতে তুলে দেওয়া হবে চন্দন -এর চারা। প্রাথমিক ভাবে এই সিদ্ধান্তে বকুলের চারা দেবার সিদ্ধান্ত হয় কিন্তু বকুল চারা রোপন -এর জন্য তুলনামূলক ভাবে অনেক বড় জায়গা প্রয়োজন। 

বকুল গাছ অল্প সময়ে অনেক বড় জায়গা জুড়ে বেড়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে অল্প জায়গায় চন্দন চারা বেড়ে উঠতে পারে তাই এটি উপহার স্বরূপ দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আগামী ৯ই মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বেঞ্চ উদ্বোধন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিচারপতি সহ উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। প্রোটোকল অনুযায়ী রাজ্যপাল থাকবেন সার্কিট হাউসে। মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন জলপাইগুড়ির পূর্ত দফতরের নতুন বাংলোয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নবনির্মিত একটি বাংলোয় থাকতে পারেন বলে জানা যায়। এছাড়া বিচারপতিদের অবস্থানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে তিস্তা-করলি  নদীর মাঝে জুবলী পার্কের নব-নির্মিত বাংলোটি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...