মিষ্টি মুখ হয়ে যাক
পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। চারদিকে পুজোর আমেজ। কেনাকাটার ভিড়। এসব পেরিয়ে নাকে আসে ভিয়েনের গন্ধ। নারকেল নাড়ু, ক্ষীরের নাড়ু, চিড়ের তক্তি, গজা-এমন কত কী!
একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বাড়িতে ‘পুজো এলো’ মানেই বদলে যেত রান্নাঘরের গন্ধ। বাড়িতেই তৈরী হত নানারকম মিষ্টি। ক্ষীর, ছানা, নারকেল তো আছেই সঙ্গে ডাল বা চালও বাদ পড়ত। সে এক হইহই ব্যাপার। দিনের রান্না শেষ হলে পড়ন্ত আঁচে দুধ ফুটে ফুটে ক্ষীর হত। প্রতিদিন দুধ জমত নিয়ম করে। পরে সব মিলিয়ে মিলিয়ে তৈরী হত সন্দেশ, নাড়ু, কিংবা ছাঁচের মিষ্টি। আজও চলছে সেই ঘরানা। পুজোয় মিষ্টি মানেই সাবেকি স্বাদের মিষ্টি। সেই চেনা স্বাদে চেনা চেনা পুজোর মেজাজ।
সাবেকি মিষ্টি বললে প্রথমেই মনে পড়ে রসগোল্লা, পান্তুয়া, জিভে গজা, মিষ্টি দই-এর কথা। আর একতু এগোলে সীতাভোগ-মিহিদানা। বহু বারিতে এখনও দুর্গাপুজো মানেই-সীতাভোগ নাহলে মিহিদানা। পুজোর শুরু থেকে বিসর্জনের মিষ্টিমুখ পর্যন্ত তার টান।
ফিউশনের রমারমার যুগে কলকাতা থেকে মোটেই হারিয়ে যায়নি সাবেকি মিষ্টির স্বাদ। মন্ডা-মিঠাই-দই-রসগোল্লার স্বাদ অম্লান। উত্তর থেকে দক্ষিণ খুঁজলে দুর্লভ নয় তেমন ঠিকানা। দক্ষিণ কলকাতার বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিকে আছে সাবেকি মিষ্টির সমাহার। সঙ্গে আছে পুরনোদিনের প্রিয় নানারকম তেলেভাজাও।