এমন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যারা শুধুমাত্র সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নতির স্বার্থে নিজেদেরকে উৎসর্গ করে। তেমনই একটি সংস্থা হল ‘সুসম্পর্ক’। যারা সমাজে পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ শিশুদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় সদা সচেষ্ট। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন সেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি অঞ্জনা কুমির, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা তথা সম্পাদক অরবিন্দ সিংঘ ও কোষাধ্যক্ষ শোভন ভট্টাচার্যী। সঞ্চালক দিপালীর সাথে তাদের এই প্রয়াসের বিষয়ে জানলাম আমরাও।
প্রাথমিক ভাবে মাত্র ৪ জনের হাত ধরে শুরু হয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পথচলা, বর্তমানে যা গিয়ে দাড়িয়েছে ২৫ জন-এ। গরিব শিশুদের বছরভর বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যাবস্থা, প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে থাকেন তাঁরা।
কারণ তারা মনে করেন যে, যদি দুঃস্থদের যথাযথ শিক্ষা প্রদান করে মানুষ করা যায়, তাহলে এদের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারে কোনও বৈজ্ঞানিক, কোনও ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার। যা শুধুমাত্র শিক্ষার অভাবে অথৈ জলে পড়ে থাকে। তবে আসন্ন শারদ সম্মানে এক নতুন পরিকল্পনা করেছেন ‘সুসম্পর্ক’-র কর্মকর্তারা।
তারা এবার এই শিশুদের চোখে দেখা সেরা দুর্গা পুজোর বিচার করবেন, যার নাম ‘ওদের চোখে সেরার সেরা শারদ সম্মান ২০১৯’। বিভিন্ন ক্লাব এই পরিকল্পনায় অংশগ্রহন করলেও তাদের মধ্যে থেকে সেরার সেরা ১০টি পুজো বেছে নেবেন তারা, আর বিচারকের আসনে থাকবে ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা। বয়স সীমা-কে দুই ভাগে ভাগ করেছেন তারা, এক ভাগে রাখা হয়েছে ৫ থেকে ৭ বছরের শিশুদের আর দ্বিতীয় ভাগে রাখা হয়েছে ৮ থেকে ১৫ বছর।
কিন্তু এত বড় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালানোর জন্য যাদের কাছে ‘সুসম্পর্ক’ কৃতজ্ঞ, তারা হলেন হাই কোর্টের দুই আইনজীবী শ্রী বিকাশ ভট্টাচার্য ও শ্রীমতি রুচিরা চ্যাটার্জী ও ব্যাবসায়ী বিবেকানন্দ মিশ্র। এনাদের সাহায্য ছাড়া যে কোনও ভাবেই তাদের স্বেচ্ছা সেবী সংস্থা চালানো যেত না, তারা তা স্বীকার করেন। তাছাড়াও তারা জানান যে এমন অনেক সহৃদয় ব্যাক্তি আছেন যারা প্রতি নিয়ত তাদের সাহায্য করে থাকেন। ‘সুসম্পর্ক’-র গর্বিত ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে জিয়ো বাংলার তরফ থেকে রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।