সে যে গান শুনিয়েছিল হয়নি সে দিন শোনা। সে গানের পরশ লেগে হৃদয় হল সোনা।
তিনি সুরের হাত ধরেই পথ হারিয়েছিলেন, সেই ঠিকানায় পৌঁছে সন্ধান মিলল এক অনন্য দুনিয়ার, উর্বর হল সঙ্গিতমহল। শুধু উর্বরতা প্রপ্তই না তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতায় ও গর্জে উঠেছে সুর গুলো, সৃষ্টি হয়েছে অগনিত। তাঁর সুরেই আজও বর্নিত হারিয়ে যাওয়া এক যুগ। যেখানে রানার ছুটত খবরের বোঝা হাতে। ছেলেবেলা থেকেই হারমনিয়ামের সাথে তার হারমনি। বাবা জ্ঞানেন্দ্রময় চৌধুরীর কাছে তার প্রথম হাতেখড়ি। কলেজজীবন থেকেই সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত হন তিনি। তবে তাঁর পন্থাটা ছিল একটু অন্য রকম। এখানেও লড়াইটা সুরে সুরেই, আইপিটিএ এর হয়ে সুর বাঁধলেন সলিল চৌধুরী। ডাক দিলেন আলোর পথ যাত্রিদের।তার সৃষ্টিতে ধরা দিয়েছে গাঁয়ের বধুর রুপ। তার প্রথম চলচিত্র ‘পরিবর্তন’, এরপরই এক আমল পরিবর্তন এল সঙ্গীত জগতে। ১৯৫৩ সালে বিমল রায় পরিচালিত ‘দো বিঘা জামিনের’ হাত ধরে তার মুকুটে পালকের সংযোজন হল, বলিপাড়ায় অভিষেক হল তাঁর। মূলত বাংলা, হিন্দি, মালায়ালাম, ভাষায় গান রচনা করেছেন তিনি।
সুর থামল না, তবে সময়ের নিয়মে থামল হৃদস্পন্দন। ঝড়ের কাছে ঠিকানা রেখেই বিদায় নিলেন সলিল চৌধুরী। আজ তার ৯৬তম জন্মদিনে সেই ঠিকানাতেই তার জন্য পৌঁছে যাক শুভেচ্ছাবার্তা।