স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বার্নপুরে ইস্কো ইস্পাত কারখানায় দু'বছরের মধ্যে স্পেশালিটি রেল উৎপাদন করার পরিকল্পনা করছে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেইল)। হাই স্পিড ট্রেন করিডর এবং মেট্রো প্রকল্পগুলিতে এই ধরনের বিশেষ মানের রেল ব্যবহার করা হয়। সেইল বার্নপুরের ইস্কোর পাশাপাশি ছত্তিসগড়ের ভিলাই স্টিল প্ল্যান্টেও স্পেশালিটি রেলের উৎপাদন করতে পারে।
মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা সেইল তার ৫টি সুসংবদ্ধ ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের কর্মসূচি রূপায়ন করেছে। এই কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর, বার্নপুর, ছত্তিশগড়ের ভিলাই, ঝাড়খণ্ডের বোকারো এবং ওড়িশার রাউরকেল্লা। সাধারণত রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ইস্পাত কারখানাগুলোর আধুনিকীকরণ বা মানোন্নয়নের সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা, তার আর্থিক অবস্থা এবং বাজার চাহিদার ওপর নির্ভর করে নেওয়া হয়। তামিলনাড়ুর সালেম কারখানার আধুনিকীকরণের বিষয়টিকেও সেইল বিশেষ কর্মসূচির আওতায় সামিল করেছে। উক্ত ইস্পাত কারখানাগুলি আধুনিকীকরণ করার উদ্দেশ্য হল অশোধিত ইস্পাত উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ১ কোটি ২০ লক্ষ ৮০ হাজার টন থেকে বাড়িয়ে ২ কোটি ১০ লক্ষ ৪০ হাজার টন করতে হবে। ইস্পাত মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, সালেম ইস্পাত কারখানার আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণমূলক কাজের জন্য ২ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই টাকার সাহায্যে একটি নতুন স্টিল মেল্ট শপ তৈরী করা হবে এবং কোল্ড রোলিং মিলের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
সেইল-এর ভিলাই স্টিল প্ল্যান্ট-এর সিইও অনির্বাণ দাশগুপ্ত জানান, দু'বছরের মধ্যে ভিলাই'তে হেড-হার্ডেনড রেল প্রকল্পটি চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে এটি যদিও পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে, উৎপাদন ক্ষমতা এবংমূল লগ্নির অর্থ কত হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ভিলাই এবং বার্নপুরে ইস্কোর কারখানায় ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে। স্পেশালিটি রেল উৎপাদন চালু করা গেলে আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে।
ফিজিবিলিটি খতিয়ে দেখার জন্য একটি উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও ভারতীয় রেল লাইন আধুনিকীকরণের যে প্রকল্পগুলি নিয়েছে, তাতে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টন হেড-হার্ডেনড রেলের প্রয়োজন হবে। এছাড়াও যে মেট্রো রেল প্রকল্পগুলি চলছে, তাতে আগামী দু'বছরে ন্যূনতম পাঁচ লক্ষ টন স্পেশালিটি রেলের চাহিদা সৃষ্টি হবে বলে জানা গিয়েছে সূত্রের তরফে।