গত বৃহস্পতিবার ভোরে সইফ আলি খান আহত অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে। তাঁর বাসভবন সৎগুরু শরণ আবাসনে এক অপরিচিত ব্যক্তি আচমকাই হামলা চালায় তাঁর উপর। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় ছেলে তৈমুরের সঙ্গে একটি অটোরিকশা করে হাসপাতালে পৌঁছান তিনি। সেই রাতে এমন অবস্থায় সইফ আলি খানকে পৌঁছে দেন যে অটোচালক, তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হল এক সংস্থার তরফ থেকে।
জানা গেছে, সেই অটোচালকের নাম ভজন সিংহ রানা। সেই রাতে বান্দ্রা লিঙ্কিং রোডের গলি ধরে অটো চালিয়ে যাওয়ার পথে এক নারীকন্ঠের শব্দ শুনতে পান তিনি। তাঁরা বারবার “রিকশা রিকশা” বলে চিৎকার করছিলেন। আওয়াজ শুনে অটো থামান তিনি। তখনই আহত অবস্থায় এগিয়ে আসেন সইফ আলি খান। তখন তাঁর সাদা কুর্তা ভেসে যাচ্ছে রক্তে। অভিনেতা বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাশের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে। সেই মতই যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে নিয়ে যান লীলাবতী হাসপাতালে। এ বার তার জন্য পুরস্কার পেলেন অটোচলাক।
পরিস্থিতির গভীরতা বুঝে মাত্র মিনিট দুয়েকের মধ্যে সইফকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য এক সংস্থার তরফ থেকে ১১ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ভজন সিংহ রানাকে। পুরস্কার পাওয়ার পর ভজন জানান, সেই রাতেও তিনি বুঝতে পারেননি অত বড় তারকা তাঁর অটোতে বসেছেন। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে সাহায্য করতে পারা পুরস্কারের সমান।
বর্তমানে পাঁচ দিন পরে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ। সেদিন হাসপাতালে সইফ দেখাও করেন ভজনের সঙ্গে। সইফকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন স্ত্রী করিনা কপূর ও মা শর্মিলা ঠাকুর।