চারদিকে যখন থিমের লড়াই তখন সাবেকিয়ানার হাত ধরে পথ চলার জন্যেও লাগে প্রচন্ড মনোবল। আর সেই মনোবলকে সঙ্গে নিয়েই ৬৮টি বছর অতিক্রম করে ফেলেছে সাহিত্য পরিষদ সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি। জিয়ো বাংলা শারদ সম্মান ২০১৯ অনুষ্ঠান উপলক্ষে জিয়ো বাংলার স্টুডিওতে সঞ্চালক দীপালির সাথে আড্ডা দিতে উপস্থিত ছিলেন এই ক্লাবের দুই সদস্য, সম্পাদক মানস ঘোষ এবং সাধারণ সদস্য সম্রাট গড়াই।
পুজোর আড্ডা @জিয়ো বাংলা অনুষ্ঠানে এসে তারা জানালেন, ঐতিহ্য এবং সাবেকিয়ানার মেলবন্ধনই মূল কথা এই পুজোর। সাবেকি পুজো করেই যে তারা যথেষ্ট খুশি তা জানালেন ক্লাবের সদস্যরা। প্রতিবছর কুমোরটুলির বিখ্যাত মৃৎশিল্পী শ্রী গোরাচাঁদ পালের কাছ থেকেই আনা হয় মাতৃমূর্তি। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয়া কিংবা তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হতে চলেছে পুজোর। রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজের হাত ধরেই উদ্বোধন হতে চলেছে।
জানা গেছে, মাতৃরূপ দর্শন করার পর মায়ের পায়ে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার পরই সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে। এই ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হল ধুনুচি নাচ। অষ্টমীর দিন ক্লাবের পক্ষ থেকে নারীপুরুষ নির্বিশেষে ধুনুচি নাচে মেতে ওঠেন। ক্লাবের সদস্যরা জানালেন, সপ্তমী থেকে শুরু করে নবমী পর্যন্ত ভোগের ব্যবস্থা থাকে ক্লাবে।
পুজো ছাড়াও এই ক্লাবের পক্ষ থেকে করা হয় নানা সামাজিক কাজ। খুঁটিপুজোর দিন দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় তাদের সামাজিক কাজ। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য দমকলের সমস্ত নির্দেশিকা তারা মেনেই মণ্ডপ তৈরী করছেন বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। এছাড়াও তারা জানালেন, ক্লাবের খুব কাছেই আছে একটি গঙ্গাকল যেটি দিয়ে সারাদিন জল পাওয়া যায়। থিমের ভিড় থেকে বেরিয়ে সাবেকিয়ানায় মিশে যেতে চাইলে পৌঁছে যেতে হবে সাহিত্য পরিষদ সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির পুজো মণ্ডপে। এই মণ্ডপটিতে যাওয়ার জন্য নোয়াপাড়া বা কবি সুভাষগামী মেট্রোতে করে নামতে হৰে শ্যামবাজার মেট্রো সেখান থেকে স্কটিস চার্চ কলেজের নিকট এই পূজা মন্ডপ।