মানুষের জীবন নদীর মত। নিজেকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত। এই সময় দুজন অবসরপ্রাপ্ত মানুষ একাকী নিঃসঙ্গ জীবনের নদী দিয়ে বয়ে যাওয়া সময়ের ঘাত - প্রতিঘাতে অনেকটাই বিদীর্ণ। ৬৫ এবং ৫৫ বছর বয়সী দুই একাকী মানুষ কীভাবে একে অপরকে ধরে রাখে কীভাবে একে অপরের পরিপূরক হয়ে ওঠে, এই নিয়েই পরিচালক ফকরুল আরফিন খাঁয়ের ছবি 'গণ্ডি'।
বাংলাদেশের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফি সেই একাকী দুজন মানুষের একজনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অপর একজন হলেন এপার বাংলার অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। এটি তাঁর প্রথম বাংলাদেশী অভিনীত ছবি। মোট ১৪টি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাবে। পরিচালকের দাবি, গন্ডি সব বয়সের দর্শকরাই দেখতে পারবেন। অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীও আশাবাদী এই ছবিতে তাঁর চরিত্র নিয়ে এবং একই সঙ্গে তাঁর ওপার বাংলার অ্যাসিড টেস্ট নিয়েও।
ছবিটিতে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে সব্যসাচী বেশিরভাগ কৃতিত্বই ছবির পরিচালক ফকরুল আফরিনকে দিতে চান। সব্যসাচীর বক্তব্য, প্রথমে চরিত্রটি সম্পর্কে শুনেই তিনি পরিচালককে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "আমাকেই কেন এই চরিত্রে বেছে নিলেন"? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত সব্যসাচী মূলতঃ গোয়েন্দা, পুলিশ বা 'মন্দ' লোকের ভূমিকাতেই অভিনয় করে এসেছেন। কিন্তু পরিচালক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, সব্যসাচী ছবির চরিত্রে খুব ভালো মানিয়ে যাবে বলে। আসলে এই ছবিতে সব্যসাচীর ভূমিকা একজন সজ্জন ব্যক্তির, যিনি যথেষ্ট সৎ, বিনয়ী আদপকায়দা জানা একজন মানুষ। ছবিতে সহ অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফিও তাঁকে চরিত্রায়নে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন বলে জানান সব্যসাচী। সব্যসাচী আরও জানিয়েছেন, তিনি পরিচালকের আত্মবিশ্বাসের মর্যাদা রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। বাকিটা দর্শকদের হাতে। তাঁদের ভালো লাগলেই সকলের পরিশ্রম সার্থক বলে জানান সব্যসাচী। ছবির একটি গান গেয়েছেন রূপঙ্কর এবং গানটি লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।