মহুলের জীবন ফের সঙ্কটের মুখে। বারবার নানাভাবে শ্বশুরবাড়ির কারো না কারো কাছ থকে তাকে হেনস্থা হতে হয়। আর এবার এক অন্য বিপাকে পড়েছে সে। তুলতুলির স্বামী অনির্বাণ এই বিপাকের মূলে। সে অর্থ উপার্জনের জন্য নানা ধরনের কুকর্ম চালায়। আর এবার সে এই কাজে রসদ করেছে নিজের স্ত্রী তুলতুলি আর মহুলকে। রোদ্দুরের সামনে মহুলকে সে বাজেভাবে খাটো করে। রোদ্দুর সাত- পাঁচ না ভেবে ভুল বোঝে মহুলকে। মহুলের চরিত্র নিয়ে রোদ্দুরকে নানা কথা বলে অনির্বাণ। শুধু তাই নয় ছলে বলে কৌশলে এমন এক পরিস্থিতি অনির্বাণ তৈরি করে ফেলে যে রোদ্দুর অনির্বাণের সব কথা বিশ্বাস করতে রাজি হয়। আর তাই সে আর মহুলকে নিজের স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে চায় না। সে মহুলকে ডিভোর্স দিতে চায়। এবং মাসের ১ তারিখে তার জন্য মাসোহারা পৌঁছে দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় অনির্বাণ। মহুল অবাক হয়ে নির্বাক হয়ে যায়। বাড়ির সবাই আজ মহুলকে খুব ভালবাসে। তাই রোদ্দুরের কথার আদি অন্ত কিছুই বোধগম্য হয় না কারোর। মহুলকে রোদ্দুর ত্যাগ করবে এটা মেনে নিতে পারে না বাড়ির কোনও সদস্যই।
মহুল চুপ থাকলেও সে বসে থাকার পাত্রী নয়। প্রসঙ্গত, বাংলা ধারাবাহিকের এটাই জাদু। প্রোটাগনিস্টরা হারে না কখনও। আসলে দর্শক তাদের জয় দেখতে চায়। যে কোনও প্রোটাগনিস্টই হয়ে ওঠে দর্শকের অত্যন্ত আপনজন। সেই সব দর্শককে এটাও জানিয়ে রাখি যে মহুলও হারবে না। সে হাল ছাড়ার পাত্রী নয়। অনির্বাণের বিরুদ্ধে সে প্রমাণ জোগাড় করে। আর সেই প্রমাণের ভিত্তিতে অনির্বাণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অনির্বাণের চরিত্রে জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ভিলেনের চরিত্রে বাজিমাত করে চলেছেন। ওদিকে তুলতুলির চরিত্রে রয়েছেন বুলবুলি।
‘ফাগুন বউ’ দেখুন প্রতি সোম থেকে শুক্র রাত সাড়ে ৮ টায়, স্টার জলসায়।