এ ঋতু সে ঋতু নয়, এ ঋতু ছিল সর্বদা রঙ্গিন| সাদা কালো ফিল্মেও যিনি তুলে ধরতেন সাধারন জিনিসকে রঙিনভাবে| আজ পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী| যিনি বাংলা ছবিতে নিয়ে এসেছিলেন এক অন্য ধারা| তাঁর জন্ম ১৯৬৩ সালের ৩১শে আগস্ট| পড়াশোনা শেষে কেরিয়ার শুরু করেন বিজ্ঞাপন জগতে| সেই সময় বোরোলিনের বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের ট্যাগলাইন তাঁর সৃষ্টি| ১৯৯২-এ ফিল্ম কেরিয়ার শুরু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী ছবি ‘হীরের আংটি’| এরপর তৈরী ছবি উনিশে এপ্রিল, যা বেস্ট ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পায়| এরপর সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস অবলম্বনে বানান ছবি ‘দহন’, যা ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পায়| ১৯৯৯ য়ে মুক্তি পায় ছবি ‘অসুখ’ ও ‘বাড়িওয়ালী’, দুটি ছবিই জাতীয় পুরস্কার পায়| উৎসব ছবির জন্য পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ বেস্ট ডিরেক্টর হিসাবে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পান| ২০০৩-এ মুক্তি পায় তাঁর ছবি ‘তিতলি’, সম্পর্কের টানাপোড়েন পরিস্ফুট হয়েছে এই ছবিতে, এই ছবির ‘মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভিতর’ গানটি আজও সকলের মন ছুঁয়ে যায়| এরপর মুক্তি পায় ছবি ‘শুভ মহরত’ একই বছরে মুক্তি পায় রবি ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে ঐশ্বর্য্য রাইকে নিয়ে তৈরী ছবি ‘চোখের বালি’| এরপর একে একে ‘রেনকোট’, ‘অন্তরমহল’ ‘দোসর’ ‘দ্যা লাস্ট লিয়ার’ ‘আবহমান’ যার অধিকাংশ পুরস্কার প্রাপ্ত| ২০১১-এ কৌশিক গাঙ্গুলির ‘আরেকটি প্রেমের গল্পে’ অভিনেতা হিসাবে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে| এরপর সঞ্জয় নাগের ছবি ‘মেমরিজ ইন মার্চে’ অভিনয় করেন তিনি| ২০১২ ‘চিত্রাঙ্গদা’-য় পরিচালনা ছাড়াও তাঁকে দেখা যায় অভিনয়েও| রবিঠাকুরের জীবনী নিয়ে তৈরী করেন ‘জীবনস্মৃতি’, করেছিলেন ব্যোমকেশ নিয়ে ছবি ‘সত্যান্বেষী’| ছবির পাশাপাশি ২০১১য় ছোটপর্দায় ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকে তাঁকে দেখা গিয়েছিল যৌথ প্রযোজনা ও পরিচালনায়| কিন্তু ২০১৩-র ৩০শে মে ঘটল দুর্ঘটনা, ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে| জিয়ো বাংলার পক্ষ থেকে রইল তাঁর জন্মবার্ষিকীতে অনেক শ্রদ্ধা|