ঋতিষা বৈদ্যরায়। মাত্র ১২ বছরেই প্রচারের আলোয়। বার্মিংহামের এই কিশোরী বাংলাকে আবারও বিশ্বের দরবারে গৌরবান্বিত করল। সম্প্রতি গত ২জুলাই মেনসা টেস্টের আই কিউ পরীক্ষায় সে পেয়েছে ১৬২ স্কোর। বর্তমানে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আই কিউ সম্পন্ন ১% মানুষের মধ্যে জায়গা পেয়ে গেছে এই কিশোরী।
বিশ্ববন্দিত নোবেলজয়ী দুই পদার্থবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এবং স্টিফেন হকিং-এর আই কিউ কে ছাপিয়ে গেছে ঋতিষা। চিকিৎসক বাবা ও মায়ের গর্ব তাদের মেয়ে। বাবা রুদ্রপ্রসাদ বৈদ্যরায় ট্রমা ও অর্থোপেডিক সার্জেন এবং মা মৌমিতা চট্টোপাধ্যায় একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ। রুদ্রপ্রসাদ এবং মৌমিতা দুজনেই কলকাতার বাসিন্দা, এখন ব্রিটেনে কর্মরত। এ হেন বাবা-মায়ের সন্তান ঋতিষা বড় হয়ে উদ্যোগপতি হতে চায়।
২০১৬ সালে মাত্র ন'বছর বয়সে ইউকে ন্যাশনাল জুনিয়ার ল্যাঙ্গুয়েজ চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছিল ঋতিষা। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিল পাঁচ হাজার পাউন্ড এবং আফ্রিকার একটি স্কুলে ঘোরার সুযোগ। ২০১৭তে বার্মিংহাম গ্রামার স্কুল কনসর্টিয়াম পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিল সে। আজ পর্যন্ত ওই পরীক্ষার ইতিহাসে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্বও অর্জন করেছে ঋতিষা। বার্মিংহামের বিখ্যাত কিং এডওয়ার্ড সিক্স হাই স্কুল ফর গার্লস-এর সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ঋতিষা, স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ এবং একটি অ্যাকাডেমিক স্কলারশিপ পেয়েছে। জেনে আশ্চর্য হতে হয়, শুধু পড়াশুনোতেই নয়, ঋতিষা তার বাইরের জগতেও সমান সপ্রতিভ। সারা ব্রিটেনজুড়ে বাংলায় আবৃত্তি সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহন করে সে। লন্ডন সিটি প্যাভিলিয়নে ওইটুকু মেয়ে আবৃত্তি পরিবেশন করেছিল প্রায় দুহাজার দর্শকের সামনে। এছাড়াও টিভি চ্যানেলেও গান গেয়েছে যথেষ্ট সাবলীলভাবে। ভায়োলা, বেহালা, পিয়ানো এবং গানে সর্বোচ্চ গ্রেডে রয়েছে এই অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী কিশোরী। স্কুলের কয়্যার এবং স্কুল সিমফনি অর্কেস্ট্রাটেও নিয়মিত অংশ নেয় ঋতিষা।
এই বিষয়ে বহু পুরস্কারও জিতেছে। বিখ্যাত রয়্যাল বার্মিংহাম কনজার্ভেটরি অর্কেস্ট্রারও সদস্য ঋতিষা। আশা করব এইভাবেই আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে ঋতিষা এবং নিজের মতো করে বড় হবে।
Well done Ritisha!https://t.co/DqbmxX1IZB
— British Mensa (@BritishMensa) July 2, 2019