ধারাবাহিক মানেই প্রতিদিন নিত্যনতুন সমস্যার মুখোমুখি চরিত্ররা। এরপর কী ভাবে তারা নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করে আবার সকলের কাছে ভাল হয়ে উঠতে পারবে সেটাই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন দর্শক। বিশেষ করে গল্পের প্রোটাগনিস্টরা যদি কোনও বিপদে পড়ল তা হলে তো তাকে নিয়ে চিন্তার অন্ত থাকে না টেলিপ্রেমী দর্শকের মনে। ঠিক যেমন এই মুহূর্তে কঠিন প্রশ্নের আর ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছে তিশাম আর মহুল।
প্রথমেই বলি মহুলের কথা। পুলিশ অফিসারের বিয়েতে নিমন্ত্রণ পায় রোদ্দুর। সেই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে একদিন মহুলকে সে দেখেছিল কালিম্পং-এ। রোদ্দুর ভাবতে শুরু করে বোধহয় মহুলের সঙ্গেই বিয়ে হচ্ছে সেই পুলিশ অফিসারের। এরই মাঝে মহুলের মুখোমুখি হয় রোদ্দুর। তারপর? উত্তর সাজানো আছে এই সপ্তাহের প্রতি পর্বে। জানতে হলে দেখতে হবে ‘ফাগুন বউ’। রাত সাড়ে ৮ টায়।
ওদিকে তিশামের জীবনে ঝড় উঠেছে আরও একবার। মিষ্টু তার সঙ্গে এক অন্য খেলায় মেতেছে। মিষ্টুর বাবা জানায় যে সে তিশামকে পাপানের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য টাকা দেবে যদি সে পাপানের সঙ্গে মিষ্টুর বিয়েতে রাজি থাকে। শ্বশুরঘর বাঁচাতে তিশাম রাজি হয়। শেষ অবধি বিয়েটা কি হবে পাপান আর মিষ্টুর? উত্তর রয়েছে চলতি সপ্তাহের পর্বে। উত্তর খুঁজতে হলে দেখতে হবে ‘ময়ূরপঙ্খী’। বিকেল সাড়ে ৫ টায়।
প্রসঙ্গত, মেয়েরা কি এই তিশাম আর মহুলের মতো মেনে নিতে আর মানিয়ে নিতেই পৃথিবীতে এসেছে? তাদের নিজেদের কোনও ইচ্ছা, স্বপ্ন, চাহিদা, ভাল লাগা, মন্দ লাগা নেই? সবই তাদের অন্যের হাতে বন্দি। আবার তাদেরই বারবার ভুল বুঝবে পরিবারের লোকজনেরা? এদের কথা বলতেই হাজির হয়েছে শ্রীময়ী। সন্ধে ৭ টায় কত না শ্রীময়ীকে দর্শক খুঁজে পান একজন শ্রীময়ীর মধ্যে। সেই একজন শ্রীময়ীর সঙ্গেই মিলেমিশে আছে কখনও তিশাম, কখনও মহুল কিংবা জয়ী, ইরাবতী, শ্যামা, বকুল সহ আরও না জানি কত কে!