দূষণ ঠেকাতে এবার নিজেরাই আবর্জনা সংগ্রহে নেমে পড়লেন লেক টাউন এলাকার বাসিন্দারা| তবে এই আবর্জনা নিত্যদিনের ময়লা-নোংরা নয়, এ হলো ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য | পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে এমন বৈদ্যুতিন সামগ্রীর অবৈজ্ঞানিক রিসাইকেল রুখতে একটি কমিউনিটি রিসাইকেল সেন্টার বা ই-বর্জ্য সংগ্রহ কেন্দ্র খুলতে এগিয়ে এসেছেন লেক টাউনের অধিবাসীরা | একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অল ইন্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্স ও একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থার সহায়তায় এই প্রকল্পটি চালু করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে|ইউজ এন্ড থ্রোর জমানায় বাতিল ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমাদের বাড়িতে ডাঁই হয়ে পড়ে থাকছে অথচ আমরা খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাই না | আর এইসব আপাতনিরীহ বর্জ্য গুলি থেকে ছড়াচ্ছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দূষণ | মোবাইলফোন, সিডি প্লেয়ার ,পেজার, টেপ রেকর্ডার ভিডিও ক্যাসেট প্লেয়ার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক সামগ্রী যেগুলো ব্যবহার করা যাবে না সেই সব গ্যাজেটগুলো জমা করা যাবে এই কেন্দ্রে | এআইডব্লিউসি পূর্ব কলকাতা ইউনিটের সভাপতি শিখা মিত্র জানিয়েছেন, ই-বর্জ্যটিকে দক্ষতার সাথে বৈজ্ঞানিকভাবে পুনর্ব্যবহার করা দরকার| পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শীর্ষ পাঁচটি ই-বর্জ্য উত্পাদক দেশগুলির তালিকার মধ্যে অন্যতম ভারত| ব্যতিক্রম নয় এরাজ্যও| ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য পরিমান| তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল এবং অন্যান্য বড় শহরগুলিতে যেখানে কয়েক দশক আগের চেয়ে ই-বর্জ্য উত্পাদন হঠাৎ লাফিয়ে বাড়ছে সেখানে এই ধরনের সেন্টার স্থাপনের পক্ষে পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ| আগামী দিনে ধীরে ধীরে প্রচলিত বর্জ্য হ্রাস পাবে এবং ই-বর্জ্য পরিমান বাড়বে| কম্পিউটার দ্বারা উত্পাদিত বর্জ্য যেমন সেলফোন, নোটবুক ইত্যাদির বর্জ্য পরিমান যেভাবে বাড়ছে তাতে অচিরেই ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ, ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য বাতিল সরঞ্জামের পরিমানকে ছাপিয়ে যাবে, মত বিশেষজ্ঞদের|