ডিম খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ বিরল, যদিও শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকেই সেই স্বাদ থেকে না চাইলেও বঞ্চিত হন, তা সে আর কি করা যাবে! আর সেই ডিম দিয়েই এমন এক পদের সন্ধান দেব যার স্বাদ আস্বাদন না করলে বোঝানো মুশকিল। টক-ঝাল-মিষ্টির মিশেলে দিল এক্কেবারে খুশ হতে বাধ্য।
বলছি রেশরাঙার কথা! যারা ওপার বাংলার তারা হয়ত এনাকে চেনেন। যারা জানেন না তাদের জ্ঞাতার্থে বলি জন্মসূত্রে ইনি কিন্তু সাতক্ষীরার বাসিন্দা। বাংলাদেশের এই অঞ্চলের খ্যাতি যে শুধু ইতিহাসের কারণে তা নয়, এখানকার রান্নাও কিন্তু বেশ খ্যাতি সম্পন্ন। আজ সেই রেশরাঙারই হদিশ দেব। বানাবেন কী করে, থাকল তার শুলুক-সন্ধান।
উপকরণ: লাগবে ৪ টে ডিম, ১টা বড় সাইজের পেঁয়াজ কুচি, ৩ টেবিল চামচ পেঁয়াজ বাটা, ১ চা-চামচ ধনে গুঁড়ো, ১ চা-চামচ জিরে গুঁড়ো, ১ চিমটে হলুদ গুঁড়ো, ৩টে রসুন কুচি, ১ টেবিল চামচ রসুন আর আদাবাটা, সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো, ৩টে গোটা কাঁচা লঙ্কা, ১ টেবিল চামচ তেঁতুলের কাথ, ২টো এলাচ, ১টা শুকনো লঙ্কা, নুন, চিনি (পরিমাণ মতো), ধনে পাতা এবং সরষের তেল সাথে একটু ইচ্ছে।
প্রণালী: চারটে ডিমের পোচ বানিয়ে (ভাল করে ভেজে) একটি পাত্রে তুলে রেখে কড়াইয়ে এলাচ, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে প্রথমে রসুন কুচি, তারপর পেঁয়াজ কুচি অল্প আঁচে ভেজে সমস্ত বাটা এবং গুঁড়ো মশলাগুলো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে ডিমের পোঁচগুলো দিয়ে ওর মধ্যে সামান্য গরম জল ঢেলে কিছুক্ষণ ঢেকে ফোটানোর পর তেঁতুলের কাথ আর চিনি একসঙ্গে দিয়ে রান্নায় মিশিয়ে দিতে হবে। সামান্য ফুটে গেলেই নেড়েচেড়ে গরম মশলা গুঁড়ো আর ধনেপাতা দিয়ে স্ট্যান্ডিং টাইম ৩ সেকেন্ড মত রাখলে তৈরী ডিমের রেশরাঙা। চটপট বানিয়ে ফেলুন আর জমিয়ে খান ঝুরো সাদা ভাত দিয়ে, জমে যাক কোনো এক দুপুরের লাঞ্চ।