‘ক্যান্সার’ শবদটিই সকলের কাছে একটি আতঙ্ক। আর ব্রেন ক্যান্সার সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে আরও ভয়ঙ্কর, ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম ‘গ্লীয়ব্লাস্টোমা’। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে যে সাংঘাতিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তা অসহনীয়, আর এটি নিরাময়ের কোনও উপায় ছিল না এতদিন। তবে এবার মিলতে চলেছে এই রোগের সুরাহা।
সূত্রের খবর, একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক ও তাঁর তত্ত্বাবধানে কাজ করা গবেষকরা ব্রেন ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ খুঁজেছেন...অর্থাৎ এই রোগটি নিরাময়ের পথ অনেকটাই এগিয়েছে। ইউএস-এর ওহিও-তে ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন্ডলে কলেজ অফ ফার্মাসি’-এর মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি প্রফেসর ডাঃ রাহুল খুপ্সের লিডারশিপ-এ গবেষক ছাত্রছাত্রীরা গবেষণা করে একটি রাসায়নিক যৌগ তৈরী করেছে যা ব্রেন ক্যান্সার সমাধানে উপযোগী। আবিষ্কৃত যৌগটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আর কে-১৫’|
এতদিন পর্যন্ত ‘গ্লীয়ব্লাস্টোমা’ রোগটি প্রচলিত মেডিসিন মেথডে নিরাময় করা যেত না, কারণ এই রোগের ক্ষতিকারক কোষগুলিকে নিষ্কাশন করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু এবার গবেষক ছাত্রছাত্রীরা এই রোগের ক্ষতিকারক কোষগুলি নিষ্কাশন করতে সক্ষম হয়েছেন। ডাঃ রাহুল জানিয়েছেন, এটি শুধু মস্তিষ্ক বা মস্তিষ্কের ক্যান্সার নয়, এটি সাধারণ কোষ বা মস্তিষ্কের কোষ বৃদ্ধি করতেও সক্ষম। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের জন্য।
ওই গবেষক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একজন, জেকব রেইস, তাঁর মতে এই আরকে-১৫ ক্ষতিকারক কোষগুলি নিরাময় করে নতুন স্বাস্থ্যকর কোষ-কলা তৈরিতে সক্ষম। এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ। আর ফাইন্ডলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দারুণ ব্যাপার এই যে, এটি সেইসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি যেখানে অধ্যাপকদের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতার মাধ্যমে তাঁদের থেকে অনেক কিছু শেখা যায়, এছাড়াও ল্যাবরেটরি ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যায় এবং এইরকম ঔষুধের যৌগ তৈরী করা যায়, যা একদিন চমৎকার করে দেখাতে পারে।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এই রসায়নিক যৌগটি আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, তা সফল হলে তারপরই তা মার্কেটে ছাড়া হবে।