আজকাল সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে অনেকেই চান রোগা ছিপছিপে শরীর|আর তার জন্য জিমে যাওয়া থেকে শুরু করে ডায়েটে পরিবর্তন অনেককিছুই করে থাকেন সকলে|ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ মতো ডায়েট মানা কতজনের পক্ষে সম্ভব হয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সকলে নিজেদের ইচ্ছে মতন পরিবর্তন করে থাকেন তাদের ডায়েটে| কিন্তু তা কতটা ভালো শরীরের জন্য নাকি এরফলে পরবর্তীকালে ভোগ করতে হতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা? চিকিত্সকেরা এই বিষয়ে শোনাচ্ছেন সাবধানবাণী|
চিকিত্সকদের মতে, হালকা ডায়েটে থাকার পর কেউ যদি হঠাৎ করে ভারী ডায়েট করতে শুরু করেন তাদের ক্ষেত্রে ফলাফল খুব ভালো নাও হতে পারে| তাদের বক্তব্য, বারবার ডায়েটে পরিবর্তন কিংবা হঠাৎ ডায়েটে পরিবর্তন একজন মানুষের সম্ভাব্য আয়ুকাল কমিয়ে দিতে সক্ষম|এরফলে স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব না পড়ে পড়তে পারে ঋণাত্মক প্রভাব| এই বিষয়ে হওয়া একটি গবেষনার ফল সামনে আসে সম্প্রতি| সেই ফলাফল অনুযায়ী, বারবার ডায়েটে পরিবর্তন বয়সজনিত রোগের অমগন ঘটাতেও প্রভূত সাহায্য করে থাকে| ফলে স্বাভাবিকভাবেই যে রোগ অনেক দেরিতে আসার কথা তা বয়স কম থাকতে থাকতেই হানা দেয়| এই বিষয়ে গবেষনার জন্য বিজ্ঞানীরা বেছে নেন ফলমাছি বা ড্রসোফিলাকে| তাদের প্রথমে হালকা ডায়েটে কিছুদিন রাখা হয় এবং তারপর তাদের ভারী ডায়েটে পরিবর্তন করা হয়| এরফলে সেই মাছিদের শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় তা হলো, এইসব মাছিদের আয়ুকাল যেমন ক্ষয়ে আসে সেইরকমই তাদের ডিম পাড়ার ক্ষমতাও ধীরে ধীরে কমে আসে সেইসব মাছির তুলনায় যারা সারাজীবন ভারী ডায়েট করে গেছে| এক্ষেত্রে গবেষকদের বিশ্বাস, খাদ্যাভ্যাস সীমাবদ্ধতায় থাকা মাছিরা ভারী খাবারের জন্য নিজেদের তৈরী করে নিতে পারেনা|