In English
পূর্ব রেলের শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়েছে নিবেদিতা সেতু। হুগলি নদীর উপরে গুরুত্বপূর্ণ এক সেতু হচ্ছে এটি। এবার সেই রেললাইনের মেরামতির কাজ শুরু করেছে রেল। ট্রেন চলাচলের অংশের স্ট্রিঙ্গার বদলের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে, এখনও ওই সেতুতে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এছাড়া জানা গিয়েছে কিছু সতর্কতা মেনেই ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। তবে, মেরামতির পরে আবারও স্বাভাবিক গতিতেই ট্রেন চলাচল করবে বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে নিবেদিতা সেতুতে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি থাকে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। প্রায় ৮৮০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুতে ন’টি ইস্পাতের স্প্যান রয়েছে। এছাড়া সেতুর উপরে পাশাপাশি দু’টি রেললাইন রয়েছে।
রবিবার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ খতিয়ে দেখেন শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম। এদিন ট্রলিতে চড়ে সেতুর বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন তিনি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে যে নির্দিষ্ট কিছুদিনে রাত সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে সেতুর যে পাতের উপরে রেললাইন বসানো হয়, সেটাকেই স্ট্রিঙ্গার বলে। রেললাইন দৃঢ় ভাবে ধরে রাখা ছাড়াও সেতুতে ট্রেন চলাচলের ভার একাধিক গার্ডারের উপরে সমান ভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ওই পাত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন যে দক্ষিণেশ্বর এবং বালির মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ওই সেতু দিয়ে যাত্রিবাহী ট্রেন ছাড়াও কলকাতা বন্দরের সঙ্গে রেলপথে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যমও ওই সেতু। ফলেম বন্দর থেকে বহু পণ্য নিয়ে আসা মালগাড়িও যাতায়াত করে।
