রাজ্যে গ্রীষ্মের দহনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল বাংলা। গরমের ছুটি পড়ার আগেই, সমস্যা দেখেও বহু স্কুল ছুটি দিয়ে দিয়েছিল ছাত্রছাত্রীদের। তবে, চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই বৃষ্টি আসতেই স্বস্তি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। ফলে, তাপমাত্রার পারদও অনেক কমে গিয়েছে।
তাই রাজ্যে তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতেই গরমের ছুটি বাতিল করে ফের স্কুল খোলার দাবি করেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতি। ইতিমধ্যে শিক্ষা দফতরকে প্রস্তাবও পাঠিয়ে দিয়েছে তারা।
দুই শিক্ষক সংগঠন দাবি করেছে যে এক দফায় লম্বা ছুটি না দিয়ে আপাতত স্কুল খুলে দেওয়া হোক। ফের মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়লে তখন আবার ছুটি দেওয়া যেতে পারে।
প্রথমে শিক্ষা দফতর জানিয়েছিল যে ১৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুলে ছুটি থাকবে। এরপর ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছুটি ছিল। কিন্তু এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে প্রবল গরম এবং তাপপ্রবাহ শুরু হওয়ায় ছুটি এগিয়ে আনা হয়। গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে ৩ জুন পর্যন্ত।
ফলে, শিক্ষক সংগঠনগুলির নেতারা মনে করছেন যে এত লম্বা ছুটির প্রয়োজন আপাতত নেই।
এই বিষয়ে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা জানিয়েছেন যে বর্তমানে গরম অনেক কমেছে। ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্কুল খুলে দেওয়া যেতে পারে। ফের তীব্র গরম পড়লে কয়েক দিন ছুটি দেওয়া যেতে পারে।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র জানিয়েছেন যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হয়েছে। এছাড়া পাঠ্যক্রমও বদলেছে। এখন গরম না থাকলেও গরমের ছুটির জন্য স্কুল বন্ধ রাখলে, সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে।