বর্তমানে শহর কলকাতা উত্তাল তিলোত্তমার অন্যায়ের প্রতিবাদে। আর এর মধ্যেই শোকের ছায়া নামল বাংলা সিনেমা জগতে। প্রয়াত হলেন বিখ্যাত পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী।
২০ শে অগস্ট সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। আশির দশকে তিনি তৈরি করেছিলেন ‘ময়নাতদন্ত’, ‘চোখ’, ‘দেবশিশু’ সহ ইত্যাদি বিখ্যাত পুরস্কারজয়ী ছবি। এছাড়াও তার ঝুলিতে আছে সেরা পরিচালকের পুরস্কার। ১৯৮২ সালে তাই তৈরি ‘চোখ’ ছবিটি ‘সেরা ছবি’র সম্মান জিতে নেয়। জানা যায়, এই সিনেমাটির পোস্টার এঁকে দিয়েছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়।
কিন্তু বিগত কিছু সময় ধরেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কিছুদিন আগেই কোমরের হাড় ভাঙ্গার কারণে কোমরের অস্থিসন্ধি প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়াও স্মৃতিভ্রম, প্রস্টেট এবং সিওপিডি-র সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তবে শেষ অবধি আর শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভ্যাস অনুযায়ী চা-ও খেয়েছিলেন, কিন্তু হঠাৎই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে, ঝিমিয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই খবরে শোকস্তব্ধ সিনেমা জগৎ।
উৎপলেন্দুবাবুর স্ত্রী পরিচালক শতরূপা সান্যাল। তাঁদের দুই মেয়ে চিত্রাঙ্গদা শতরূপা ও ঋতাভরী চক্রবর্তী টলিপাড়ার প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। দীর্ঘ দিন আগে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন শতরুপা। কিন্তু আজ আর কোনো অভিযোগ নেই তার। তিনি লিখেছেন, “মানুষটা চলেই গেলেন। আজ আর আমাদের জীবনের কালো দিক তুলে কথা বলে লাভ কী? সব কালো ওঁর নশ্বর দেহের সঙ্গে ছাই হয়ে যাক। রয়ে যাক শুধুই ভাল।”
পরিচালকের প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে (টুইটার)-এ তিনি লিখেছেন, “প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোকাহত।“