হাটের মাঝখানে রবি ঠাকুর। সঙ্গে আবার ঝুড়ি। চমকে গিয়েছিল বাংলা!
রবীন্দ্রনাথকে এভাবেই দেখেছিলেন তিনি। ব্যঙ্গ সাহিত্যের সিদ্ধ পুরুষ। কার্টুন ছবির ক্ষেত্রেও কথাটা একই ভাবে খাটে।
তাঁর মতো দেখার চোখ বাংলা সাহিত্যে সেভাবে আর কারও ছিল না। ‘ এক কলমী’ ছদ্মনামে যুগান্তর পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। শুদ্ধ নাম পরিমল গোস্বামী।
শুধু ‘যুগান্তর’ নয়, ‘প্রবাসী’, ‘শনিবারের চিঠি’র সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ঘনিষ্ঠ ভাবে।
তাঁকে বাংলা সাহিত্যে স্টিফেন লিফাককের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ব্যঙ্গ সাহিত্যে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য।
লিখতেন সরস গল্প কিন্তু আয়নার উল্টে দিকে ধরলেই তা হয়ে উঠত সিরিয়াস ছোট গল্প! হালকা কথার আড়ালে ফালাফালা করে দেওয়া কথার ঝাঁজ।
জন্ম ১ সেপ্টেম্বর। সন ১৮৯৭। বাংলাদেশের ফরিদপুরে। বাবা বিহারীলাল গোস্বামী।
সাহিত্য আর বেতার নিয়ে ছিল তাঁর জগৎ। বহু গুণী মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন। সেই সব দুর্লভ মুহূর্ত কে ক্যামেরাবন্দী করতেন অনায়াস দক্ষতায়। এমন সজীব অভিব্যক্তি যে মনে হত তিনি ‘ছবি’ লেখেন।
নিজের স্মৃতি কথায় আড়ালে তিনি সেই সময়কে ধরে রেখেছেন শব্দে, অক্ষরে আলোক চিত্রে।
ছোটবেলায় শান্তিনিকেতন গিয়েছিলেন ছবি আঁকা শিখতে। ভর্তি হয়েছিলেন কলাভবনে। কিন্তু স্বাস্থ্যের কারণে সেখানে বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেননি। ফিরে আসতে হয় কলকাতায়।
তবে ছবির নেশাটা সঙ্গ ছাড়েনি। তাই এমএ ক্লাসের পড়া শেষ করে ভর্তি হন সরকারী আর্ট কলেজে।
লেখা, আঁকা, আর ছবি দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে। সঙ্গে যুক্তিবাদী মন। সেই ধারার বীজ বুনে দিয়েছিলেন পুত্র হিমানিশ গোস্বামীর মননেও। আজও সরস স্রোতে বইছে...