ফুরলো আলব্যের ইউদেরজোর রূপকথা

পৃথিবীর এখন কঠিন অসুখ। সব দেশের মানুষ কেবল নিরাময়ের দিন গুনছে। তার মধ্যেই নিভে চলেছে একের পর এক তারা। চলে গেলেন 'ফাদার অফ অ্যাসটেরিক্স' আলবেয়ার ইউদেরজো। বয়স হয়েছিল ৯২। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমের দেশে চলে যান শিল্পী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভীষন ক্লান্তিতে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিদ্রার মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কার্টুন কমিকসের দুনিয়ায় তিনি 'ফাদার ফিগার'। তিনি আর প্রিয়তম বন্ধু রেনে ইউরোপের ইতিহাসের ওপর রীতিমতো গবেষণা করে সৃষ্টি করেছিলেন, গল যোদ্ধাদের । লৌহযুগে ইউরোপের রোমান সভ্যতা ও রোমের গল জাতির যোদ্ধাদের গল্প আঁকেন। পরবর্তী সময়ে ফ্রান্সের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছিল যুদ্ধবাজ অ্যাসটেরিক্স ও তাঁর পরাক্রমী বন্ধু ওবেলিক্স। ১৯৫৯ সালে প্রথম প্রকাশ ফ্রান্সেরইএক ম্যাগাজিনে। সেই পত্রিকার সম্পাদকই নতুন কমিকস তৈরির ভার দিয়েছিলেন।

এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩৮০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। আকর্ষণ এতটুকু কমেনি।মজার মিশেলে সিরিয়াস কথা ভাবিয়েছেন। বই ভালোবাসতে শিখিয়েছেন শিশুদের। ইউদেরজোর জন্ম উত্তর-পূর্ব ফ্রান্সের এক শহরে। ইতালি থেকে আসা ছিন্ন মূল পরিবার। ১০ বছর বয়সে শুরু হয় ছবি আঁকা। তখন থেকেই তাঁর সমস্ত ছবিতে চরিত্রের নাক প্রায় মুখ ঢাকা। পাকাপাকি ভাবে চিত্র শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন ১৯৫১ তে। অ্যাসটেরিক্স বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৭৭-এ বন্ধু রেনে গসিনির মৃত্যুর পর তবে অ্যাসটেরিক্স এর ছবির সঙ্গে কাহিনি লেখার দায়িত্বও নেন তিনি। জনপ্রিয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি তাতে। গল্পের জাল বোনাও শুরু করেন।
বারোটি ভাষায় অনুদিত হয়েছে। গল্পের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে সিনেমাও। ১৯৫৯-২০০৯ পর্যন্ত একটানা। ৩৫ টি খণ্ডে কমিকস বই প্রকাশিত হয়।
অক্টোবরে প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিকতম বইটি। একই ট্রাডিশনে জনপ্রিয়তায় বহমান অ্যাসটেরিক্স।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...