ওজন হ্রাসের সাথে খাবারের এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অনেকেই আছেন যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করা শুরু করেন। ডায়েট করা শুরু করলে প্রথম যে খাদ্যটি খাবারের পাত থেকে বাদ যায় তা হলো ভাত। বলা হয়ে থাকে, অতিরিক্ত পরিমান ভাত খেলে শরীরে মেদ জমে।কিন্তু ভাত খেয়েও যে শরীরের মেদকে বশে রাখা যায় তা কি জানা আছে? না, আজকে আমাদের আলোচ্য বিষয় অবশ্য এটি নয়। আজ আমরা আলোচনা করবো এমন একটি বিষয় নিয়ে যা শুনলে মন খুশিতে ভরে উঠবে। আজ আমরা আলোচনা করবো কিছু দক্ষিণী খাবার নিয়ে যাদের সাহায্যে ক্রমশ বেড়ে চলা ওজনে লাগাম পরানো সম্ভব। চলুন সেইসব বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক........
দক্ষিণী খাবারের কথা বললে প্রথমেই যে খাবারটির নাম মনে আসে তা হলো ইডলি ও সাম্বার। ইডলির সাহায্যে ওজন হ্রাস করা সম্ভব। জেনে নিন কিভাবে...
১) ইডলি সম্পূর্ণ তেলবিহীন একটি খাবার- ইডলি কোনো ভাজা নয় বরং ইডলি ভাপে তৈরী হয়। তাই তৈলাক্ত খাবার থেকে হওয়া ওজনবৃদ্ধির সমস্যা এই ক্ষেত্রে হয় না। তেল না থাকার জন্য ইডলির ক্যালোরি কন্টেন্ট অনেক কম হয়ে থাকে।
২) ইডলি অত্যন্ত সহজপাচ্য- ফার্মেন্টেড হওয়ার কারণে এটি হজম হতে অনেক সময় লাগে। খাবার ফার্মেন্টেড হওয়ার ফলে ভিটামিন ও মিনারেলের ব্রেকডাউন অনেক সহজে হয়ে গিয়ে থাকে। এছাড়াও ফার্মেন্টেড খাবারে ল্যাকটিক অ্যাসিড উপস্থিত থাকে।
৩) ইডলি প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবারে পূর্ণ- অতিরিক্ত পরিমান প্রোটিন অনেক্ষনের জন্য মানুষকে তৃপ্ত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমান ফাইবার হজমে সাহায্য করে যা পরোক্ষভাবে ওজনহ্রাসে সাহায্য করে থাকে।
৪) দক্ষিণী খাবারের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার হলো সাম্বার। সাম্বার প্রচুর পরিমান প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ হওয়ার কারণে এটিও শরীরের পক্ষে উপকারী। সাম্বারও হজমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সহজে হজম হওয়ার কারণে ওজন হ্রাস সহজেই হয়ে থাকে। ওজন হ্রাসের পরিমান বৃদ্ধি করতে চাইলে এর সাথে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি সাম্বারের মধ্যে মিশিয়ে নিন।
এছাড়াও দক্ষিণী খাবার খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিছু বিশেষ টিপস দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। চলুন সেগুলি জেনে নেওয়া যাক......
ইডলির ব্যাটার তৈরী করার সময় তার মধ্যে যদি সামান্য পরিমান লেবুর রস মিশিয়ে নেওয়া যায় তাহলে শরীরে কার্বোহাইড্রেটের ডিপোজিশন অনেকটা কম হয় ফলে ওজন বৃদ্ধি কম হয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ইডলির ব্যাটারের মধ্যে যদি ওটস যোগ করা যায় তাহলে তাহলে সেই খাবারের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। ওটসে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন ও ফাইবার মিশ্রিত থাকে যা অল্প পরিমান খাবার খাওয়ার পরেও শরীরকে তৃপ্তি দিয়ে থাকে।