যে কোনও জায়গার ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে সেই জায়গার ইতিহাসের ওপরে। তাই কোনো জায়গার সম্মন্ধে জানতে গেলে তার ইতিহাস জানা থাকলে সুবিধে হয়। তেমনি ভাবেই কোনো কোনো জায়গায় মাঝেই মাঝেই জমির নিচে থেকে কিছু জিনিস পাওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখে অনুমান করা হয়, সেটা বহুকাল আগের জিনিস। ডাক পড়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে-র সদস্যদের। তাঁরা তাঁদের নিজস্ব প্রযুক্তি এবং নিজস্ব ধরণে হিসেবে-নিকেশ করে বের করেন সেই জিনিসের সময়কাল। তার নিরিখে বিচার হয় জায়গাটির গুরুত্ব এবং ইতিহাস।
কোচবিহার এমনিতেই রাজকীয় জায়গা, যার একটি ইতিহাস রয়েছে।এখানকার গোসানিমারি রাজপাট লাগোয়া এলাকায় সম্প্রতি ৭টি ইঁটের সন্ধান পেল এএসআই। সাধারণ ইঁটের থেকে আকারে বড় এই ইঁটগুলি থেকে মনে করা হচ্ছে, সেগুলির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে পাল বংশের ইতিহাস। জানা যাচ্ছে, গত নভেম্বরে স্থানীয় কৃষক অজিত বর্মন কৃষিকাজের জন্য তার উঁচু জমি সমান করতে ট্র্যাক্টর লাগান। সেই সময় মাটির তলা থেকে প্রাচীন আমলের ৩০টি বিভিন্ন আকারের পাত্র উদ্ধার হয়। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সেই খবর যায় কলকাতা এএসআই দফতরে। সেই খবর পেয়ে আধিকারিকেরা খনন কার্য শুরু করলে ওই ইঁটগুলি পাওয়া যায়। সেগুলি প্রায় ৬৫ সেন্টিমিটারেরও বেশি লম্বা। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ইঁটের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কোচবিহারের প্রাচীন ইতিহাস। প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, গত ২০০০ সালে এই জায়গায় খননকার্য শুরু হয়েছিল। প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে খননের ফলে উদ্ধার হয়েছিল প্রাচীন মূর্তি। আচমকাই সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোচবিহারের ইতিহাস গবেষক দেবব্রত চাকী বলেন রাজপাট খনন হলে আরও প্রাচীন অজানা ইতিহাসের খোঁজ পাওয়া যাবে।