জীবন সব সময়ই এক আশ্চর্য রূপকথা। বাস্তবের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জাদু-বাস্তব। কখনো দৈত্যরূপী অন্ধকার সময় এসে আচ্ছন্ন করে জীবনকে। খোঁজ চলে সোনার কাঠির। তারপর সাহস, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের সোনার কাঠি আলো দেয় জীবন নামের রূপকথাকে। জাদু-বাস্তব আর বাস্তবের সীমারেখা মুছে যায়।
ইব্রাহিম আল-হুসেইনি হামাদ্যু। নামের মতোই দীর্ঘ তাঁর জীবনের লড়াই। মাত্র দশ বছর বয়সে মিশরের এই মানুষটি ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটো হাত। কোনোভাবেই রক্ষা করা যায়নি। বাদ পড়ে শরীরের অত্যন্ত মূল্যবান অঙ্গ। কিছু সময়ের জন্য অচল হয়ে পড়েছিল তাঁর জীবন। অন্ধকার তখন বারবার হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু নিজের সাহসকে সঙ্গী করে সেই হাতছানিকে আলোর স্পর্শে রূপান্তরিত করেন ইব্রাহিম।
১৯৭৩ সালের ১লা জুলাই জন্ম ইব্রাহিম হামাদ্যুর। ট্রেন দুর্ঘটনার পরে দীর্ঘদিন শারীরিক ও মানসিক লড়াই চালিয়েছেন ইব্রাহিম। তারপর একটু সুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরে খেলার জগতে আলো খোঁজা শুরু করেন।
ইব্রাহিমের কথায় সেই সময় তাঁর গ্রামে কেবলমাত্র দুটো খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল। ফুটবল এবং টেবিল টেনিস। প্রথমটা হয়তো ইব্রাহিমকে অনেকটা কম বাধার সম্মুখীন করতো। কিন্তু কোন কিছুতেই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসতেন ইব্রাহিম।
তাই সহজ পথ ছেড়ে বেছে নেন কঠিন পাথুরে রাস্তা। শুরু করেন টেবিল টেনিস খেলা। মিশরের রুক্ষ প্রান্তরে নিজের ইচ্ছের চারাগাছ পোঁতার শুরু হয় সেদিন থেকেই। মুখ দিয়ে টেবিল টেনিস ব্যাট চালান তিনি। শারীরিক বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে নিজের জীবনের পথ প্রশস্ত করেছেন। সেই দশ বছর বয়স থেকে নিয়মিত অনুশীলন করেছেন টেবিল টেনিসের। রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের খেলায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন।
জীবনের কাঠিন্য হেরে যায় মানসিক দৃঢ়তার কাছে। বিশ্বের প্যারা-টেবিল টেনিসের তালিকায় যথেষ্ট উচ্চ স্থানে রয়েছেন ইব্রাহিম হামাদ্যু। ২০১১ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সুযোগ পান ইব্রাহিম। তাঁর সাহস, মানসিক শক্তি উজ্জ্বল করেছে মিশরের নাম। তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে আফ্রিকান প্যারা টেবিল-টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ইব্রাহিম হামাদ্যু রুপো জিতেছিলেন।
লড়াই-এর ক্ষেত্রে পরিবারের সাহচর্য পেয়েছেন সব সময়। বাধা সত্ত্বেও তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন আপনজনেরা। ইব্রাহিমের ভাষায় তিনি সর্বদাই তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিবাহিত জীবনে স্ত্রী এবং সন্তানেরাও ভালোবেসে সঙ্গ দিয়েছেন তাঁর ক্রীড়াক্ষেত্রে।
২০১৬ সালের অলিম্পিকেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ইব্রাহিম। এ বছরের টোকিও প্যারা অলিম্পিক্সে তিনি অবাক করেছেন সমগ্র বিশ্ববাসীকে। দীর্ঘক্ষণ মুখ দিয়ে টেনিস ব্যাট চালিয়ে টিকে থেকেছেন টেবিলে। সফল না হলেও ক্রীড়াবিদদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
ধাতব পদক নিঃসন্দেহে সম্মানের প্রতীক। তবে সেই যাত্রাপথ অব্দি পৌঁছনোর গল্পটাও রঙিন। প্রতিমুহূর্তের লড়াইয়েও থাকে সাফল্য। অংশগ্রহণ করার ইচ্ছের সাফল্য। স্কোরবোর্ডের নিচের দিকে থাকা নামটাও নিজস্ব স্বাক্ষর বহন করে। সব গল্পের শেষ কোন পদক জয়ের মাধ্যমে হয় না। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর রাস্তাটাও সোনা জয়ের মতোই আলোর হাতছানি। ইব্রাহিম হামাদ্যুও তেমনি এক আলোর নাম।
জীবন সব সময়ই এক আশ্চর্য রূপকথা। বাস্তবের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জাদু-বাস্তব। কখনো দৈত্যরূপী অন্ধকার সময় এসে আচ্ছন্ন করে জীবনকে। খোঁজ চলে সোনার কাঠির। তারপর সাহস, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের সোনার কাঠি আলো দেয় জীবন নামের রূপকথাকে। জাদু-বাস্তব আর বাস্তবের সীমারেখা মুছে যায়।
ইব্রাহিম আল-হুসেইনি হামাদ্যু। নামের মতোই দীর্ঘ তাঁর জীবনের লড়াই। মাত্র দশ বছর বয়সে মিশরের এই মানুষটি ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটো হাত। কোনোভাবেই রক্ষা করা যায়নি। বাদ পড়ে শরীরের অত্যন্ত মূল্যবান অঙ্গ। কিছু সময়ের জন্য অচল হয়ে পড়েছিল তাঁর জীবন। অন্ধকার তখন বারবার হাতছানি দিচ্ছে। কিন্তু নিজের সাহসকে সঙ্গী করে সেই হাতছানিকে আলোর স্পর্শে রূপান্তরিত করেন ইব্রাহিম।
১৯৭৩ সালের ১লা জুলাই জন্ম ইব্রাহিম হামাদ্যুর। ট্রেন দুর্ঘটনার পরে দীর্ঘদিন শারীরিক ও মানসিক লড়াই চালিয়েছেন ইব্রাহিম। তারপর একটু সুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরে খেলার জগতে আলো খোঁজা শুরু করেন।
ইব্রাহিমের কথায় সেই সময় তাঁর গ্রামে কেবলমাত্র দুটো খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ ছিল। ফুটবল এবং টেবিল টেনিস। প্রথমটা হয়তো ইব্রাহিমকে অনেকটা কম বাধার সম্মুখীন করতো। কিন্তু কোন কিছুতেই চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসতেন ইব্রাহিম।
তাই সহজ পথ ছেড়ে বেছে নেন কঠিন পাথুরে রাস্তা। শুরু করেন টেবিল টেনিস খেলা। মিশরের রুক্ষ প্রান্তরে নিজের ইচ্ছের চারাগাছ পোঁতার শুরু হয় সেদিন থেকেই। মুখ দিয়ে টেবিল টেনিস ব্যাট চালান তিনি। শারীরিক বাধাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে নিজের জীবনের পথ প্রশস্ত করেছেন। সেই দশ বছর বয়স থেকে নিয়মিত অনুশীলন করেছেন টেবিল টেনিসের। রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের খেলায় অংশগ্রহণ করতে শুরু করেন।
জীবনের কাঠিন্য হেরে যায় মানসিক দৃঢ়তার কাছে। বিশ্বের প্যারা-টেবিল টেনিসের তালিকায় যথেষ্ট উচ্চ স্থানে রয়েছেন ইব্রাহিম হামাদ্যু। ২০১১ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সুযোগ পান ইব্রাহিম। তাঁর সাহস, মানসিক শক্তি উজ্জ্বল করেছে মিশরের নাম। তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে আফ্রিকান প্যারা টেবিল-টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ইব্রাহিম হামাদ্যু রুপো জিতেছিলেন।
লড়াই-এর ক্ষেত্রে পরিবারের সাহচর্য পেয়েছেন সব সময়। বাধা সত্ত্বেও তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছেন আপনজনেরা। ইব্রাহিমের ভাষায় তিনি সর্বদাই তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিবাহিত জীবনে স্ত্রী এবং সন্তানেরাও ভালোবেসে সঙ্গ দিয়েছেন তাঁর ক্রীড়াক্ষেত্রে।
২০১৬ সালের অলিম্পিকেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ইব্রাহিম। এ বছরের টোকিও প্যারা অলিম্পিক্সে তিনি অবাক করেছেন সমগ্র বিশ্ববাসীকে। দীর্ঘক্ষণ মুখ দিয়ে টেনিস ব্যাট চালিয়ে টিকে থেকেছেন টেবিলে। সফল না হলেও ক্রীড়াবিদদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
ধাতব পদক নিঃসন্দেহে সম্মানের প্রতীক। তবে সেই যাত্রাপথ অব্দি পৌঁছনোর গল্পটাও রঙিন। প্রতিমুহূর্তের লড়াইয়েও থাকে সাফল্য। অংশগ্রহণ করার ইচ্ছের সাফল্য। স্কোরবোর্ডের নিচের দিকে থাকা নামটাও নিজস্ব স্বাক্ষর বহন করে। সব গল্পের শেষ কোন পদক জয়ের মাধ্যমে হয় না। সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর রাস্তাটাও সোনা জয়ের মতোই আলোর হাতছানি। ইব্রাহিম হামাদ্যুও তেমনি এক আলোর নাম।