ইঁদুর হল গণেশ ঠাকুরের বাহন। ঘিয়ের লাড্ডু খেতে অভ্যস্ত মূষিকবাহিনী এবার করে বসেছে এক মজার কান্ড। জেলে থেকে হাজার লিটার মদ চুরির অভিযোগে এবার অভিযুক্ত হল ইঁদুরবাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রের খবর, সদ্য বাজেয়াপ্ত করা মদ সংরক্ষিত করে রাখা ছিল স্টোরেজে। বেরিলি থানার পুলিশদের দাবি, সেখান থেকে এক দুই গ্লাস নয় পুরো হাজার লিটার মদ গায়েব হয়ে গেছে। পুলিশের দাবি, এর পিছনে রয়েছে গণেশ দেবতার বাহনের সাঙ্গপাঙ্গরাই। সম্প্রতি থানার কেরানি সেখানে ঢুকে জিনিসপত্র নাড়াচাড়া করতে গিয়ে ব্যাপারটি লক্ষ্য করেন। তিনি দেখেন বেশ কয়েকটি টিনের ভিতর থেকে মদ গায়েব হয়ে গেছে। টিনের পাত্র উল্টে দেখেন পিছনে ছিদ্র করে কেউ সব মদ খেয়ে ফেলেছে। ব্যাপারটি নিয়ে সন্দেহ হয় কেরানীবাবুর। তিনি জানান, স্টোরেজে বেশ কয়েকটি ইঁদুরকে পালাতেও দেখেছেন তিনি। তখনই আইনের কাঠগড়ায় মদ সরানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় ইঁদুরের দল। কিন্তু ইঁদুর কি মদ খায়? তা আর জানার উপায় রইলো কই? তার আগেই যে বেচারাদের সাজা ঘোষণা হয়ে গেল। যত দ্রুত সম্ভব স্টোরোজকে থেকে ইঁদুরবাহিনী হটানোর নির্দেশ জারি হয়ে গেলো। তার মধ্যে মদ্যপ ইঁদুর খোঁজার কাজও শুরু হয়েছে জোর কদমে। ভবিষ্যতে যাতে এই বদমাস ইঁদুরেরা আর মালখানায় না ঢুকতে পারে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে পুলিশকর্তারা। আইনের ঘেরাটোপে পরে ইঁদুররা দোষী প্রমাণিত হলেও মানুষের কাঠগড়ায় কিন্তু বেকসুর খালাস পেয়ে গেছে ইঁদুর বাহিনী। সাধারণ মানুষের দাবি, যে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে মদ বন্ধ করা হয়েছে সেই রাজ্যে ইঁদুর মদ পেলো কথা থেকে? বাজেয়াপ্ত করা বেআইনি মদ যত দ্রুত সম্ভব নষ্ট করে ফেলার কথা থাকলেও এক্ষত্রে কেন তা মালখানায় সংরক্ষিত ছিল তা নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন।