২০১৭-র ২৪ জুলাই থেকে সম্প্রচার শুরু হয় ধারাবাহিক ‘রানী রাসমণি’র। দেখতে দেখতে দুটি বছর পার করল এই ধারাবাহিক। জানবাজারের রানীর জীবন নিয়ে এর আগে সেভাবে কোনও গল্প আসেনি দর্শক দরবারে। ২০১৭-তে তাঁকে নিয়ে পথ চলা শুরু করে ‘সুব্রত রায় প্রোডাকশন’। পরিচালকের দায়িত্ব সামলেছেন রাজেন্দ্র চন্দ্র দাস। এই মুহূর্তে অবশ্য বদল ঘটেছে পরিচালকের। রানীর জীবনে ঘটে গিয়েছে অনেক ঘটনা। স্বামী রাজচন্দ্র মারা যাওয়ার পর জমিদারী এখন তাকে একা হাতেই সামাল দিতে হয়। যদিও তার সেনাপতি হিসেবে রয়েছে তার আদরের জামাই মথুর। সেও শাশুড়িমাতার আদেশ-নির্দেশ ছাড়া একটি কাজও করে না। এর মাঝে সন্তানহারাও হয়েছে রানী। দর্শক এই সব গল্পই জানেন।
রানী রাসমণির চরিত্রে দিতিপ্রিয়া রায়ের অভিনয় শুরুর দিন থেকে দর্শকমনে ঝড় তুলেছে। এক ষোড়শী বছর চল্লিশের মহিলার চরিত্রে অভিনয় করে বাজিমাত করে চলেছে প্রতিদিন। বলা বাহুল্য, দিতিপ্রিয়া রায়ের জীবনে এই ধারাবাহিক এক মস্ত পিলার হয়ে থাকবে চিরকাল।
একবার এক সাক্ষাৎকারে প্রযোজক সুব্রত রায় জানান- “অযথা ধারাবাহিককে টেনে লম্বা করার ইচ্ছে আমাদের নেই। দর্শক যতদিন ধারাবাহিকটিকে ভালবাসবেন ঠিক ততদিনই চলবে এই ধারাবাহিক। তবে এর মাঝে যতটা দেখানো সম্ভব তা গুছিয়ে দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে।“ আর সেই পরিকল্পনা মতোই আজও চলছে এই ধারাবাহিক। এর আগে এই প্রযোজনা সংস্থারই ব্রেন চাইল্ড ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’ পার করেছিল ৩০০০ পর্ব। এবার ওই একই সংস্থা থেকে ‘রানী রাসমণি’ এগিয়ে চলেছে। সামনে আসছে অনেক অজানা তথ্য, অজানা কাহিনি। দর্শকমনে আজ অবধি এতটুকুও একঘেয়েমির উদ্রেক ঘটায়নি এই ধারাবাহিক। একে একে আসছে অনেক চরিত্র। আসছে শ্রী রামকৃষ্ণদেবের পর্ব।
জানতে হলে ‘রানী রাসমণি’ দেখুন প্রতিদিন সন্ধে সাড়ে ৬ টায়।