শর্ট ফিল্মের কাজে হাত দিয়েছেন পরিচালক রণদীপ সরকার। আর সেই শর্ট ফিল্মের বিষয় হল ‘লিভ ইন’, যা আজকের ট্রেন্ড হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে। রণদীপ এর আগে বানিয়েছেন ‘নট আ ডার্টি ফিল্ম’ এবং ‘নূপুর’। এই প্রথম কোনও শর্ট ফিল্ম বানাচ্ছেন তিনি। তাও আবার হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায়। ছবির ইংরেজি ভার্সনের নাম ‘ভিভির জুন্তস- প্রিজম অফ আ রিলেশনশিপ’। আর হিন্দি ভার্সনটির নাম- ‘দায়রা- প্রিজম অফ আ রিলেশনশিপ’।
‘ভিভির জুন্তস’ একটি স্প্যানিশ শব্দ, বাংলায় যার অনুবাদ করলে দেখা যায় ‘লিভ ইন রিলেশনশিপ’। এই ছবির মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন মুমতাজ সরকার এবং সপ্তর্ষি ঘোষ। ছবির শুটিং হয়েছে লক্ষ্ণৌতে। এই মুহূর্তে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে ২০ মিনিটের ছবি এটি।
ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে সোনালী ও ভিকিকে কেন্দ্রে রেখে। সোনালী বাঙালি আর ভিকি অবাঙালি। এরা একসঙ্গে থাকে। একটি সন্ধ্যায় পালটে যায় সবকিছু। এদের এই সম্পর্ক কোনদিক থেকে কোনদিকে গড়ায় সেটাই ছবির গল্প। সময় এগিয়েছে, মানুষের মানসিকতাতেও এসেছে পরিবর্তন। আজ তাই এক ছাদের তলায় থাকব কিন্তু বিয়ে করব না এই মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছেন মানুষ। তাই লিভ ইন সম্পর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। আর এই বিষয়টিকেই শর্ট ফিল্মে বেঁধে ফেলেছেন রণদীপ সরকার। প্রথমে বিভিন্ন ফেস্টিভ্যালে ছবিটিকে ঘোরানোর ইচ্ছা আছে পরিচালকের। তারপর সর্বসমক্ষে ছবিটিকে আনবেন তিনি।
পরিচালক জানান, "আমরা বিদেশি কালচার’কে অনুসরণ বা অনুকরণ করার চেষ্টা করেছি। তাই লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে মেতেছি। একসঙ্গে থাকছি, দুজনে দুজনের কাছ থেকে নানারকমের সুবিধা নিচ্ছি, অথচ কারো প্রতি কারো কোনও দায়িত্ববোধ নেই। এটা কি আজকের ভালবাসার আরেক নাম? ভালবাসা কি আদৌ থাকে দুজনের মধ্যে? নাকি শুধুই শারীরিক লিপ্সা? আমার মনে হয় এই বিষয়টি সকলের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার। তাই আমি এই প্রজেক্টে হাত রাখার উৎসাহ দেখিয়েছি। জাতীয় স্তরে ছবিটিকে বানাতে পারায় আমি খুব খুশি। বিষয়টা আসলে সকলের জানা উচিত। মোদ্দাকথা হল, এর আনাচ কানাচ জানা প্রয়োজন। আর সেই আনাচ কানাচ ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে বাঁধার চেষ্টা করেছি। এরকম বৃহৎ একটি বিষয়কে এই কয়েক মিনিটে বন্দি করাটা বড় চ্যালেঞ্জিং। চ্যালেঞ্জটা নিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আশাকরি সকলের ভাল লাগবে এই ছবি।”