প্রয়াত দেশের অন্যতম তেলেগু ‘মিডিয়া টাইকুন’, ইটিভি নেটওয়ার্ক এবং রামোজি ফিল্মসিটির প্রতিষ্ঠাতা, রামোজি রাও।
জানা গিয়েছে যে গত ৫ জুন রামোজিকে উচ্চ রক্তচাপ এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এতদিন সেখানেই চলছিল তাঁর চিকিৎসা। শুক্রবার রাতে হায়দরাবাদে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭।
রামোজি সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন চেরুকুরি রামোজি রাও নামে। ১৯৯৬ সালে তিনি তৈরি করেব বিশ্বের বৃহত্তম সিনেমা সেট ‘রামোজি সিনেমা সেট’। শুধু তাই নয়, তিনি একটি প্রযোজনা সংস্থারও মালিক ছিলেন। সংস্থাটির নাম ‘উষাকিরণ মুভিজ’। বিভিন্ন ভাষার ছবি প্রযোজনা করেছেন তিনি। জাতীয় পুরস্কারও জিতেছিলেন।
রামোজির মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন মহলের মানুষ শোকপ্রকাশ করেন। শোকের ছায়া নেমে আসছে তেলেগু সংবাদমাধ্যমে এবং বিনোদন জগতে। এছাড়া শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছেন যে রামোজি রাওয়ের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি ছিলেন এক দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতীয় মানুষদের মধ্যে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। সাংবাদিকতা এবং চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। রামোজি রাও ভারতের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তাশীল ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি খুবই ভাগ্যবান যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার এবং তার প্রজ্ঞা থেকে উপকৃত হওয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছেন। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অগণিত ভক্তের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। ওম শান্তি।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা লিখেছেন যে রামোজি রাওয়ের মৃত্যুতে তিনি শোকাহত। এনাডু গোষ্ঠী, ইটিভি নেটওয়ার্ক এবং একটি বৃহৎ ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। রামোজি রাওয়ের তেলুগু এবং সমস্ত আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সম্পর্কের নিশান বয়ে নিয়ে গিয়েছেন। মমতা জানিয়েছেন যে তিনি তাঁকে ভালো করে চিনতেন এবং তাঁকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি রয়েছে। একবার উনি মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর স্টুডিয়োতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যেখানে তিনি এবং অন্য এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিল। আজও সেই দিনের কথা মনে আছে তাঁর। রামোজির পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অনুগামীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।