রামাদান Vs রমজান

রমজান মাস। ইফতার, রোজা, কাবাব, শরবত। তার সঙ্গে ঘুরে ফিরে আসে আরও একটা জিনিস। বাঙালির প্রিয় তর্ক। তর্কের আর কোনও নিষ্পত্তি হয় না।

রমজান নাকি রামাদান কোনটা ঠিক? কোনটা শুদ্ধ?

এ যেন লাখ টাকার প্রশ্ন। কোনটা বললে ‘ঠিক’ বলা হয় সে নিয়ে নানা জনের নানা মত।

আরবি অক্ষর ض (দ্দ)পড়া হয়। পারসি ও সিন্ধ্রি ভাষায় উচ্চারন অনেকটা z এর মত। যেভাবে আমাদের হিন্দি মাস্টারমশাইরা আমাদের আর z এর উচ্চারণ এর তফাত করান, সেইরকমই আরবিক শব্দ উচ্চারণ এর ক্ষেত্রে লেখা বানান আর কানে শোনা শব্দ, উচ্চারণে কিছুটা তফাৎ হয়ে যায়।

রমজান শব্দটির উৎপত্তি পারস্য দেশের ভাষায়।  রামাদান’ আরব দেশের।

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পারসি, উর্দু, বাংলাই ব্যবহার করেন। তাই এখানে ‘রমজান’  শব্দটি প্রচলিত। 

 ‘রমাদান’ এর মত পিজ্জা নিয়েও একই ঝগড়া লড়াই তর্ক চলে। অনেকে বলেন ‘পি-জা’। আবার অনেকে ‘পিৎ-জা’

এরকম অনেক শব্দই আমাদের চারপাশে উড়ে বেড়ায়। কখনও আমরা খেয়াল করি। কখনও আমরা কানে নিই না। শব্দ বদলে যায়।

সে রকম আর এক শব্দ বোরখা’ শব্দটা আসলে কী? বুরকা’ বা ‘বোরখা’ আমরা সবাই ‘বোরখা’ বলায় অভ্যস্থ। তাই ‘বুরকা’ নিয়ে আর মাথাব্যাথা থাকে না। নিকাব’ থেকে ‘হিজাবে’ চলা ফেরা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবশ্য খুব কমই ব্যবহার হয় এই শব্দ দুটো। সেখানে খুব একটা দ্বন্দ্ব দেখা যায় না। তারা বলে ফেস ভেল’

শব্দের দ্বন্দ্ব শুধু অভিধানে। তা দিয়ে খুশির চেহারায় দ্বন্দ্ব আনা যায় না। তাই রমজান হোক বা রামাদান ঈদের সেলিব্রেশন চলতেই থাকুক। অনাবিল আনন্দে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...