প্রায় ৯০ মিনিট কম সময়ে রাজধানী চলাচল করবে পুশ-পুল সিস্টেমের মাধ্যমে

কলকাতা-রাজধানী এক্সপ্রেসের সময় বেশ কিছুটা কমতে চলেছে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে। ট্রেনের দু'দিকে দুটি ইঞ্জিন লাগিয়ে পুশ-পুল সিস্টেমে চালানো হবে রাজধানী এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকাল ৮.৩৫ মিনিটে ২২কোচের এলএইচবি (লিঙ্ক হফম্যান বুশ) রেক ট্রায়াল রানের জন্য হাওড়ার ৯ নং রেক থেকে ছেড়ে গোয়ার দিকে রওনা দেয়। অপরদিকে ছিল ডব্লিউএপি৭ লোকোমোটিভ। এই ট্রায়াল রানের উদ্দেশ্য ছিল ১৩০ কিমি প্রতি ঘন্টায় ছোটা। এই রেকটি বলাই বাহুল্য পুশ-পুল সিস্টেমের মাধ্যমে চালানো হয়েছে, যাতে অতি শীঘ্রই হাওড়া-রাজধানী ৯০ মিনিট সময় সাশ্রয় করে দিল্লি পৌঁছতে পারে।

                সামনের এবং পেছনের ইঞ্জিন দুটি একই সঙ্গে কাজ করবে। যখন একটি ইঞ্জিন ব্রেক কষবে, করবে, তখন অপরটি তা রিলিজ করবে। এতে করে ট্রেনের গতি বাড়বে। রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অরগানাইজেশন এ বছরের শুরুর দিকে মুম্বই-রাজধানী এক্সপ্রেসে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিল। এদিনও হাওড়া-গয়া ট্রায়াল রান উপলক্ষ্যে আরডিএসও উপস্থিত ছিল। এছাড়াও এই ট্রায়াল রান উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকেরা। এই ট্রায়াল রানের সময় প্রতিটা কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে এবং রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। ট্রেনের শুরুর দিকে যে ইঞ্জিন তাকে বলা হচ্ছে মাস্টার লোকো এবং শেষের দিকের ইঞ্জিনকে বলা হচ্ছে স্লেভ লোকো। ইলেকট্রিক্যালি এবং ইলেক্ট্রনিক্যালি ইঞ্জিন দু'টিকে যুক্ত রাখা হয়েছে। পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে এই প্রযুক্তিতে ট্রেন চালানো হয়। এই পদ্ধতিতে রেয়ার লোকো অর্থাৎ ট্রেনের পেছনের দিকের ইঞ্জিন কখনোই সামনের দিকের ইঞ্জিন অর্থাৎ মাস্টার লোকো যেই মাত্রায় ব্রেক টানবে, তার থেকে জোরে ব্রেক ছাড়বে না। তাই সামনের দিকের ইঞ্জিনকে বলা হচ্ছে মাস্টার লোকো এবং পেছনের দিকের ইঞ্জিনকে বলা হচ্ছে স্লেভ লোকো। 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...