ট্রেনে লম্বা সফর করছেন অথচ গা-হাত-পা-মাথা ব্যথা হয়নি এমন যাত্রী খুঁজলেও পাওয়া দায়। এ সি হোক বা নন এ সি, সীমাবদ্ধ হাঁসফাঁস করা কামরার বাঁধাধরা বার্থে টানা গা এলিয়ে আর কাঁহাতক থাকা যায়! কিন্তু কী ই বা উপায়... ট্রেন সফরের এ নিয়তিকে মেনে নেওয়া ছাড়া বৈ অন্য কোনও পথও তো নেই, যাঁরা এমনটা ভেবে আক্ষেপ করছেন তাঁদের জন্য ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ আনছে আকর্ষনীয় এক সুবিধা। ট্রেন সফরের ব্যথা-'বোরডম'কে তুড়ি মেরে গায়েব করতে এবার যাত্রীবৃন্দের জন্য থাকবে 'মাসাজ'-এর ব্যবস্থা। পুরো ভারত জুড়ে না হলেও বেশ কিছু রেলপথে ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে এই অভিনব পরিষেবা। কেবলমাত্র ইন্দোর থেকে ছাড়বে যে ৩৯টি ট্রেন সেগুলিতেই এই পরিষেবা নেওয়ার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।
রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রতলাম ডিভিশনে এই সুবিধা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে এই সুবিধা যাত্রীরা বিনামূল্যে ভোগ করতে পারবেন না। এজন্য তাঁদের মাথাপিছু গুনতে হবে ১০০ টাকা। ট্রেনের টিকিটের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এই পরিষেবা সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে কিনতে হবে যাত্রীদের। সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত মিলবে 'মাসাজ', নির্ধারিত সময়ের পর বিশেষত রাত ১০টার পর পাওয়া যাবেনা এই সুবিধা।
রেল কর্তৃপক্ষ আপাতত স্থির করেছে ট্রেন পিছু ৩ থেকে ৫ জন মাসাজকর্মী থাকবেন। এই সুবিধার ফলে রেলের আয় আপাতত ২০ লক্ষ টাকা করে বছরে বাড়বে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ। আপাতত যেসব ট্রেনে যাত্রীরা এই সুবিধা পেতে পারেন সেগুলি হল- মালওয়া এক্সপ্রেস, অবন্তিকা এক্সপ্রেস, শিপ্রা এক্সপ্রেস, নর্মদা এক্সপ্রেস, হামসফর এক্সপ্রেস, পুনে-ইন্দোর এক্সপ্রেস সহ ৩৯টি ট্রেন। নন ফেয়ার রেভিনিউ আইডিয়াজ স্কিম পলিসি-র আওতায় এই সুবিধা ট্রেনে চালু করা হল। যাঁদের মাসাজের জন্য রেল নিয়োগ করবে তাঁদের দক্ষতা আগে পরীক্ষা করে তবেই তাঁদের সুযোগ দেবে রেল কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বেশ কিছু কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।