দ্রুত গতিতে কলকাতা-সিকিম রেল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে এক ট্রেনেই যাওয়া যাবে কলকাতা থেকে সিকিম। এবার সেই কাজেই সফল হল কালীঝোড়ার কাছে ৩ নম্বর টানেলের ব্রেক-থ্রুটি এবং তারই মধ্যে ১৪’টি টানেলের মধ্যে ৭’টি টানেলের খনন সম্পন্ন গেছে।
কলকাতা থেকে সিকিম ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল দফতর। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই প্রকল্পে সায় দিয়ে দিয়েছিলেন। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই বিশাল রেল যোগাযোগের প্রকল্পটির কাজ পুরোদমে চলছে।
জানা গিয়েছে, টানেল নির্মাণের কাজ প্রায় ৭৬ শতাংশ ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এটি এক বিশাল প্রকল্পের কাজ কারণ প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি টানেলের মাধ্যমে প্রায় ৩৮ কিমি স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ৭টি টানেলের খনন কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে এবং বাকি টানেল খননের কাজও শেষের দিকে।
এই প্রকল্পে উচ্চ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিদেশি ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেই ভারতের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের পরিচালনায় প্রত্যাহ্বানমূলক ও দুর্বল গ্রাউন্ডমাসের মাধ্যমে টানেল সম্পূর্ণ করার জন্য নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড (এনএটিএম) গ্রহণ করা হয়েছে।
এই টানেলের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই পরবর্তী কাজ, ট্র্যাক লিংকিং শুরু হয়ে যাবে। টানেল নং. টি-১৪-এর পরেই অবস্থিত রংপো স্টেশন নির্মাণের কাজ চালু হয়ে গিয়েছে এবং এটি শেষ হওয়ার পর সিকিমের জন্য একটি বাণিজ্য ও পর্যটন কেন্দ্র হবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যান্য টানেলের ফাইনাল কংক্রিট লাইনিং-এর কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পটি ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে রেলওয়ে, যোগাযোগ, বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই টানেল পরিদর্শন করেছিলেন এবং তিনি সেইসময় কাজের প্রশংসা করেছিলেন।
এই প্রকল্পটি ভারতের একটি মর্যাদাপূর্ণ নির্মীয়মাণ জাতীয় প্রকল্প এবং এটি সম্পূর্ণ হলে প্রথমবারের জন্য সিকিম রেলওয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হবে। এই রেলওয়ে প্রকল্প চালু হলে রাজ্যর আর্থ-সামাজিক স্থিতির মান আরও দ্বিগুণ বাড়বে।