রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল জল্পনা, এখন তাতে পাকাপাকিভাবে পড়ল সিলমোহর। দুটি ব্যস্ততম রুটে অর্থাৎ হাওড়া-নয়াদিল্লি ও মুম্বই-নয়াদিল্লির ভার এবার তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থার উপর। সোমবার কেন্দ্রের রেলমন্ত্রক এই প্রস্তাবে অবশেষে সম্মতি দিয়েছে। এবার চলবে আরও দ্রুতগতির ট্রেন, ঘণ্টায় ১৬০কিলোমিটার বেগে এই রুটে দৌড়াবে বলেই জানান রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি. কে. যাদব।
এই দ্রুতগামী ট্রেনে করে মাত্র ১৬ ঘন্টায় পৌঁছনো যাবে হাওড়া থেকে দিল্লি। দ্রুতগতির ট্রেন চালানোর দায়িত্ব অবশ্য আগেও আইআরসিটিসি-র উপর তুলে দিয়েছিল সরকার। ইতিমধ্যেই অনেকগুলি রুটে ট্রেনের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। মুম্বই-দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসের গতি বাড়িয়ে করা হল ১৬০কিমি, ফলে ১৫ঘন্টার বদলে যাত্রা হবে এবার ১০ঘন্টার। ডিজেল ইঞ্জিন তুলে সব রুটে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমনকি লোকাল ট্রেনেও বাড়বে গতি। তবে বিপদ এড়াতে আগে থেকেই প্রয়োজন রেলপথ সংস্কারের, মনে করছেন অনেকেই। রেলের 'মিশন রফতার' প্রকল্পের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এই দ্রুত যাত্রার বিশ্বমানের পরিষেবা, ভর্তুকিতে ট্রেন চালিয়ে সম্ভব নয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। গোটা বিশ্বে বেসরকারি সংস্থা ট্রেন চালাচ্ছে, ভারত কেন সমস্ত দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকবে বলে তাঁর দাবি। ভারতীয়রাও পেতে পারেন উন্নততর রেল পরিষেবা, আর তার জন্যই প্রয়োজন বেসরকারিকরণের।