শুরু হল কোচবিহারের রাস উৎসব

উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ এবং প্রাচীন রাসমেলার উদ্বোধন হল গতকাল সন্ধ্যায়মেলার  উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ মঠের স্বামী বিজ্ঞেয়ানন্দ মহারাজ। এছাড়া মদনমোহনের রাসযাত্রার সূচনাও হল এদিন। সূচনা করলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেই সাংস্কৃতিক মঞ্চের উদ্বোধন করেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিং সহ জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা

                       

                   এ বছর এই মেলা ২০৭ বছরে পড়ল। ঐতিহ্য ও চিরাচরিত প্রথা মেনে জেলাশাসক পবন কাদিয়ান পূজা-অর্চনা শুরু করেন। তিনিই প্রথম রাশিচক্র ঘোরান। ধুতি-পাঞ্জাবি পরে রীতি মেনে নিষ্ঠা সহকারে রাসযাত্রার সূচনা করেন তিনি। তিনি রাসচক্র ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গেই রাস উৎসবের সূচনা হয়। শতাধিক ভক্ত রাসচক্রে বাঁধা দড়ি ঘুরিয়ে পুণ্য অর্জন করেন। এই উৎসব উপলক্ষ্যে গোটা মদনমোহন মন্দির আলোর মালায় সাজানো হয়েছে। এদিন সকালে মদনমোহন মন্দিরে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের ছোট মদনমোহনের উত্থান যাত্রার বিশেষ পুজো হয়বিকেলে পশার ভাঙা দিয়ে রাসযাত্রা শুরু হয়। তারপর রাসযাত্রার পুজো করা হয়। পুজো শেষে রাসচক্র ঘোরানো হয়। আগামী ১৫ দিন ধরে এই উৎসব চলবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে এখানে ভক্তরা আসেন। প্রত্যেকেই রাসচক্র ঘুরিয়ে মদনমোহনকে দর্শন করবেন।

                সারা বছর ধরেই কোচবিহারবাসী এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। শুরুর সময়ে অর্থাৎ রাজআমলে কোচবিহারের মহারাজারা রাসচক্র ঘুরিয়ে রাস উৎসবের সূচনা করতেন কিন্তু রাজ আমলের পর দীর্ঘদিন ধরেই রাসচক্র ঘোরানোর দায়িত্ব পালন করে আসছেন কোচবিহারের জেলাশাসকরা। মেলায় প্রতিবছরই প্রায় চার হাজার ব্যবসায়ী তাদের সামগ্রী নিয়ে হাজির হন। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা চত্বর।

 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...